সুনীত হালদার, হাওড়া: সোমবার থেকে রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হতে চলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু ((Draupadi Murmu)। ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি (President)। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আদিবাসী শিল্পীদের পাশাপাশি ডাক পেয়েছে হুগলির বৈঁচির রেয়ারডাডি লাকচার গাঁওতা সাংস্কৃতিক দল। আজ সকাল ৮টা নাগাদ পূর্বা এক্সপ্রেসে চড়ে দলের ২৭ জন সদস্য রওনা দিলেন দিল্লির উদ্দেশে। রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে তাঁরা খুশি।


চৌষট্টি বছর বয়স দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu)। ১৯৫৮ সালের ২০ জুন জন্ম হয়েছিল দ্রৌপদী মুর্মুর। ওড়িশার (Odisha) ময়ূরভঞ্জের উপরবেদা (Uparbeda) গ্রামে জন্মেছিলেন তিনি। তারপরে ভুবনেশ্বরের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হল তিনি। সূত্রের খবর, খুব সাধারণ একটি আদিবাসী পরিবারের জন্ম দ্রৌপদী মুর্মুর। তাঁর গ্রামে তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি ভুবনেশ্বরে কলেজে পড়ার জন্য এসেছিলেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ অবধি ওড়িশার সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। তারপর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ অবধি ছিলেন সাম্মানিক সহকারী শিক্ষক। তারপরে ১৯৯৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন দ্রৌপদী মুর্মু।


উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ঝাড়খন্ডের (Jharkhand) রাজ্যপাল পদে বসেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি। তিনি ঝাড়খন্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল ছিলেন। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি রয়েছে রাজ্যপাল হিসেবে কাজ চালানোর অভিজ্ঞতাও। দলীয় পদ থেকে আইনসভা, সেখান থেকে রাজ্যপালের অফিস। সব স্তরেই দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর হন দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সঙ্গে রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও পান তিনি। 


২০০০ ও ২০০৪ সালে ওড়িশার রাইরংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে জিতে বিধায়ক হন দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার বিজেপি-বিজেডি জোট সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্বও সামলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু।


আরও পড়ুন: ৮টি ফ্ল্যাট, ৫৪ লক্ষের বিদেশি মুদ্রা, ২১ কোটি ১০ লক্ষ নগদ, অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি