রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: সোমবার থেকে অবিরাম বৃষ্টি (Heavy rain)  হয়ে চলেছে সিকিমের পাহাড়ে। প্রবল এই বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকায় তিস্তা নদীর (Teesta river) জলস্তর ক্রমশও বাড়ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে তোর্সা নদী সহ একাধিক নদীতে জল বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।


রাজ্য সেচ দফতর সূত্রে খবর, অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে তিস্তা ব্যারেজে জল ছাড়ার পরিমাণ খানিকটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৬২ কিউসেক। এতে জলস্তর বৃদ্ধি পাবে, তবে এখনও পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় কোনও বিপদ সংকেত জারি করা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা পারের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নদীগুলির পাড়ে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। 


আরও পড়ুন:  Weather Update : একদিকে তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা, অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টির লাল সতর্কতা


সিকিম পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলে রাতে ভারী বৃষ্টির জেরে জলস্তর বাড়ছে নদীর। তাই তিস্তা সহ বিভিন্ন নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নদীতে না নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১১৫.৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়িতে। যা এই মরশুমের রেকর্ড বৃষ্টিপাত বলে মনে করছে সেচ দফতর। তার উপর সিকিম পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে সমতলে বেসামাল হয়ে উঠেছে তিস্তা। তিস্তার গজলডোবা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে এই নদী। 


সূত্রের খবর, সকালে ২৪৬২.৬৬ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজ থেকে,তাতে নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গেছে। এর ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা। আচমকা এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার ফলে পর্যটকদের নদীর জলে বা ধারে থাকতে নিষেধ করা হয়েছে। গত বছরে হড়পা বানের জেরে জেরে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল জলপাইগুড়িতে। এবার ফেরে প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্রমশ তিস্তা যা রূপ ধারণ করছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা। ফের যদি ওই ধরনের কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে কী হবে তা নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। 


আরও পড়ুন: Loksabha Elections 2024: হুগলিতে প্রকট তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, যুব সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর কর্মীদের


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।