উত্তর ২৪ পরগনা: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের (Duttapukur Incident) আঁচ পড়তে চলেছে বিধানসভায় (Vidhan Sabha)। মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ দেখানোর ভাবনা বিজেপির। এই নিয়ে বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাবও আনতে পারে বিধানসভায়। দত্তপুকুরকাণ্ডের পর আজ এলাকায় যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। (Suvendu Adhikari) বিরোধী দলনেতার সঙ্গে থাকছেন একাধিক বিজেপি (BJP) বিধায়ক। থাকছেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রও।


উল্লেখ্য, দত্তপুকুরকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিশানা করে বলেন, 'এ ধরনের একজন অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য চললে তার পরিণতি যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে।' ভয়াবহ বিস্ফোরণের তীব্রতায় নিমেশের মধ্যে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, আস্ত দালান বাড়ি। ২০০ মিটার দূরে মিলেছে দেহাংশ। অনেকে বলছেন, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে ১০ কিলোমিটার দূর থেকেও।


শুধু মজুত বাজি বিস্ফোরণে কি এই তীব্রতা থাকা সম্ভব? তাহলে কি বাজির আড়ালে আরও শক্তিশালী কিছু তৈরি হত?  উল্লেখ্য ১৬ মে এগরায় বিস্ফোরণের কাণ্ডের পর ফের ২৭ অগাস্ট ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল দত্তপুকুর। এগরার পর একই প্রশ্ন উঠল দত্তপুকুরেও। মোচপোলের যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই বাড়ির ৫০ মিটার পিছনে রয়েছে ২টি পুকুর ঘেরা বাঁশবাগান। সেখানেই ৭টি ঝুপড়ি রয়েছে। যেখানে আদতে বাজি তৈরি করা হত। সেই গ্রাউন্ড জিরোয় পৌঁছে গিয়েছিল এবিপি।


শুভেন্দু আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় লেকচার মেরেছিলেন, মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে দল তৈরি হয়েছে, বেআইনি বাজি কারখানা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা রাজ্যটাই বেআইনি। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের চোরদের বাঁচানোর কাজে ব্যস্ত। পুলিশকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে ব্যস্ত। মুখ্যমন্ত্রীর এসব বিষয়ে নজর নেই। তাঁর নজর কী করে চোরদের বাঁচানো যায়। তাঁর পরিবারের যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কী করে বাঁচানো যায়। এটাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য। স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের একজন অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য চললে তার পরিণতি যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে।'


আরও পড়ুন, বাজির আড়ালে কি আদতে বোমা তৈরি হত দত্তপুকুরে? NIA-তদন্তের দাবি Congress ও BJP-র


মহেশতলা, এগরা, বজবজের পর এবার দত্তপুকুর। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও অবধি ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল দত্তপুকুরের মোচপোল এলাকা। জগন্নাথপুর-নারায়ণপুর রাস্তার পাশে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি একতলা-দোতলা পাকা বাড়ি। তারই মধ্যে একটি একতলা বাড়িতে চলত বেআইনি বাজির কারখানা। হঠাৎ তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। উড়ে যায় একতলা বাড়িটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তার ২ পাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে কেঁপে ওঠে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরের জেলা শহর বারাসতও।