কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: এ যেন একেবারে সিনেমার প্লট। ফিল্মি কায়দায় অপহরণ করা হল ব্যবসায়ীকে। শুধু অপহরণই (Kidnap) নয়, চাওয়া হল বিরাট অঙ্কের মুক্তিপণ। অপহৃত ব্যক্তির নাম বেণীমাধব চন্দন চট্টোপাধ্যায়। পেশায় তামাক পাতার ব্যবসায়ী। মেমারি শহরের পুরনো পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, গতকাল, রবিবার বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ নিজের বাইক নিয়ে মেমারী (Memari) থেকে ছিনুই-এর দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ে একটি সাদা রঙের স্করপিও তার তাতারপুরের কাছে তাঁর পথ আটকায় এবং জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়। ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেট লাগানো ছিল সেই গাড়িতে। ঘটনার খবর চাউর হয়। পরিবারের তরফে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। 


এর কিছুক্ষণ পরেই একটি ফোন আসে অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে। ফোনে ৬০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। শেষ নয় এখানেই, জানানো হয় ব্যবসায়ীকে ঝাড়খন্ডে পাকুরের কাছে আটকে রাখা হয়েছে। মুক্তিপণ না পেলে ব্যবসায়ীকে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন অপহরণকারীরা। ফোনের সূত্র ধরে ও বিভিন্ন সূত্র মারফত তদন্ত শুরু করে মেমারি থানার পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামেরাও দেখা শুরু হয়। এরপর সুতি টোলে গাড়িটির ছবি দেখতে পান তদন্তকারীরা। ক্লু পেতেই ফোনের লোকেশন টাওয়ার ট্র্যাক করে এবং বিভিন্ন সূত্র মারফত অপহরণকারীদের খুঁজে বের করা হয়। আট ঘণ্টার মধ্যেই অপরাধীদের খুঁজে বের করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ীকে। ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


একই গ্রামের তিন ছাত্রীকে অপহরণ? এর আগে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন মালদার (Malda) ইংরেজবাজারের একই গ্রামের তিন ছাত্রী। জানা যায় এদের মধ্যে ২ স্কুলে পড়ে। তৃতীয় জন কলেজ পড়ুয়া। অপহরণের আশঙ্কা করছে নিখোঁজ ছাত্রীদের পরিবার। চিন্তায় ঘুম উড়ে যায় তাদের। পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে নিখোঁজদের পরিবার। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।কোনও প্রলোভন দেখিয়ে ওই তিন ছাত্রীকে অপহরণ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিল পরিবারের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার তিনজনের পরিবার ইংরেজবাজার থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করে। ৬টা দিন পেরিয়ে গেলেও, এখনও ঘরে ফেরেনি তিন ছাত্রী ! কোথায় গেল, কোনও অঘটন ঘটল কি না, এসব ভেবেই ঘুম উড়েছে পরিবারগুলোর ! নিখোঁজ এক ছাত্রীর আত্মীয় বলেছেন, সোমবার ৯ টার পর মেয়ে কলেজ যাওয়ার কথা বলে বেরোয়। আসার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর মোবাইল সুইচ অফ। পরে শুনি পাড়ার আরও দুটো মেয়ে নেই। অন্য নিখোঁজের আত্মীয়রাও সন্দেহ করচেন বাড়ির মেয়েরা অপহরণের খপ্পড়ে পড়ে গেল কি না ভেবে।