রঞ্জিত সাউ, সত্যজিৎ বৈদ্য, আবীর দত্ত : শুক্রবার সকাল থেকে ফের অ্যাকশনে নামল ইডি।  শহর ও শহরতলির একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।


এবার আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, প্রাক্তন পার্শ্বশিক্ষকের বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিউটাউনের পাথরঘাটার মাজার শরিফ মোড়ে  আব্দুল আমিনের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন ইডি-র অফিসাররা। সূত্রের খবর, তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ। এদিন তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে পৌঁছে যায় ইডির ৫ সদস্যের টিম। যদিও এক স্থানীয় বাসিন্দা জানালেন, বহু বছর দেখছি, ভাল লোক। দান করেন সবাইকে। পাথরঘাটায় ইডি অভিযান চলাকালীন, সেখানে পৌঁছে যায় টেকনোসিটি থানার পুলিশ। ইডি সূত্রে খবর, কী কারণে অভিযান জানতে চাওয়া হয় পুলিশের তরফে। বাইরে বেরিয়ে আসেন ইডির অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদমর্যাদার একজন আধিকারিক। পুলিশকে জানানো হয়, মেল করে আগেই রাজ্য পুলিশের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন ইডির নোডাল অফিসার।


এদিকে, রাজারহাটের এক জমি ব্যবসায়ীর বাড়িতেও এদিন হানা দেয় ইডি। কাশীনাথপুরে চন্দন চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে পৌঁছে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রিন্টার সহ একাধিক জিনিসপত্র নিয়ে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। ইডি সূত্রে খবর, পাথরঘাটায় প্রাক্তন পার্শ্বশিক্ষক আব্দুল আমিন এবং কাশীনাথপুরের জমি ব্যবসায়ী চন্দন চট্টোপাধ্যায় ২ জনেই নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের ঘনিষ্ঠ।


এর পাশাপাশি, নাগেরবাজারে এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের ফ্ল্যাটেও পৌঁছে যায় ইডি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে ওই ব্যক্তির। লএর পাশাপাশি, এদিন লেকটাউনে ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। 


আরও পড়ুন : 


শিশুদের ক্যান্সার-চিকিৎসায় আশার আলো?


গত মাসের ২২ তারিখ, কলকাতা শহরে নগদ টাকা উদ্ধার করে ইডি। ভুয়ো কল সেন্টার প্রতারণা-মামলায় ৪০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, পার্ক সার্কাস থেকে ২০ লক্ষ, এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে ১৫ লক্ষ এবং সল্টলেক থেকে ৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তদন্ত চলাকালীনও প্রতারণা চক্র চলছিল বলে দাবি করে ED। ২০০৫ সালে কলকাতায় কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণা করার চক্র কাজ শুরু করে । বিদেশিদের কাছ থেকে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। গত বছর ২৬ অগাস্ট চক্রের কিংপিন কুণাল গুপ্তাকে গ্রেফতার করে সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ED-র দাবি, কুণাল গুপ্তা গ্রেফতার হলেও এই চক্র সক্রিয় ছিল।  এর আগে CBI দাবি করে, তাদের হেফাজতে থাকাকালীন মোবাইল ফোনের মাধ্য়মে কুণাল যোগাযোগ রেখেছিলেন তঁর শাগরেদদের সঙ্গে।