সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি ( Bengal Recruitment scam ) মামলায় ইডি-র তত্পরতা তুঙ্গে। সল্টলেক, কৈখালি, বারাসাত, রাজাবাজার, কলেজ স্কোয়ার-সহ ৬টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে এই সমস্ত জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠর অফিসে ইডি
২০১৭-য় বন্ধ হয়ে যাওয়া কলেজ স্কোয়ারের অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করে একাধিক অফিস খুলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। দাবি বাড়ি মালিকের। এদিন কলেজ স্কোয়ারের শ্রী গোপাল মল্লিক লেনে ওই বাড়িতে হানা দেয় ইডি। বাড়ি মালিকের দাবি, মিনার্ভা এডুকেশনাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও অ্যাম্বিশন স্টাডি সেন্টার নামে দুটি অফিস খোলা হয়েছিল। সংস্থার মালিক তাপস মণ্ডল সম্পর্কে নানা ধরনের অভিযোগ ওঠায়, তাঁকে বাড়ি ছাড়তে বলা হয় বলে বাড়ি মালিকের দাবি।
তল্লাশি মহিষবাথানে
অন্যদিকে, শনিবারই সল্টলেকের মহিষবাথানের অফিস ও বারাসাতের দেবীপুরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মালিকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান। মহিষবাথানে শাটারের তালা ভেঙে ও বারাসাতে দরজা বন্ধ থাকায় কার্যত পাঁচিল টপকে ঢোকেন ইডি-র অফিসাররা। সব জায়গায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী।
স্থানীয়দের দাবি, ট্যাক্সি চড়ে মাঝেসাঝে মহিষবাথানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে আসতেন মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুরু হওয়ার পরই তড়িঘড়ি অফিসে তালা ঝোলে, অফিস ঘরের মেঝেও খোঁড়া হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয়দের।
সূত্রের খবর, মহিষবাথানে মিনার্ভা এডুকেশনাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নামে অফিস ভাড়া নিয়ে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন বারাসাতের বাসিন্দা, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। স্থানীয়দের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলাকালীন মাসদুয়েক আগে বন্ধ হয়ে যায় অফিস। বাড়িমালিকের দাবি, ৫ মাসের ভাড়া বাকি। আজ সকাল সোয়া ৮টা নাগাদ সল্টলেকের মহিষবাথানে হানা দেন ইডি-র অফিসাররা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর, চাবিওয়ালাকে ডেকে এনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শাটারের তালা ভাঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বেশ কিছু ফাইল ও নথি। বাইরে ট্রেনিং সেন্টার, ভিতরে লুকিয়ে কোন রহস্য, খতিয়ে দেখছে ইডি।
অন্যদিকে, অবৈধভাবে স্কুলে নিয়োগ নিয়ে এক প্রভাবশালী নেতার আপ্ত সহায়কের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যর। তাঁর মোবাইল ফোন ঘেঁটে এই তথ্য মিলেছে বলে ED সূত্রে দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে আরও দাবি, ২০ জন করে চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকায় পাঠিয়েছিলেন কয়েকজন বিধায়ক।