বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: হেফাজতে অত্যাচার করছে ইডি, এমনই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ। জানুয়ারিতে গ্রেফতার অথচ অভিষেকের বক্তব্যের পর কেন অভিযোগ, আদালতে প্রশ্ন ইডি-র আইনজীবীর। ইডি-র প্রশ্ন ২ মাস ধরে কেন কুন্তল ঘোষ কোনও অভিযোগ করেননি। এটাও তদন্তে বাধা তৈরির আরেকটা চেষ্টা, অভিযোগ ইডি-র আইনজীবীর।
ED-র বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। কিন্তু, সেই অভিযোগ নিম্ন আদালতের ম্য়াজিস্ট্রেটের কাছে জানানোর নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টেও কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল জেলবন্দি বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতাকে।
বিচারপতির প্রশ্ন, তাঁকে হেনস্থা করা হয়ে থাকলে, অভিযোগ জানাতে কেন ২ মাস দেরি করলেন কুন্তল ঘোষ? নিম্ন আদালতের ম্য়াজিস্ট্রেটকে কেন কিছু জানানো হয়নি? ২৯ শে মে, শহিদ মিনারের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় দাবি করেন, একসময় কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁর নাম বলাতে বাধ্য করেছিল। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই, কার্যত একই অভিযোগ তোলেন কুন্তল।
এ নিয়ে সিবিআইয়ের স্পেশাল কোর্টে চিঠিও দেন কুন্তল। পরবর্তীকালে মামলা হাইকোর্টে যায়। কুন্তল ঘোষকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর র, ED-র বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কুন্তল ঘোষ। শুক্রবার, শুনানিতে কুন্তল ঘোষের আইনজীবী দাবি করেন, হেফাজতে তাঁর মক্কেলের ওপর অত্য়াচার করছে ইডি। অভিযোগ অস্বীকার করে, পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেন, জানুয়ারি মাসে গ্রেফতার হন কুন্তল। কিন্তু তিনি এই অভিযোগ করা শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একটি মন্তব্যের পর থেকে। ২ মাস তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। ইডির আইনজীবী আরও বলেন, তদন্তে নানাভাবে সমস্যা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই অভিযোগও তার মধ্যে একটি। তখন কুন্তল ঘোষের আইনজীবী বলেন, ইডির বিরুদ্ধে জেল সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেটি হেস্টিংস থানায় পাঠানো হয়। কলকাতা হাইকোর্ট কুন্তল ঘোষকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, কী কারণে কুন্তলের অভিযোগ জানাতে ২ মাস দেরি হল?
নিম্ন আদালতের ম্য়াজিস্ট্রেটকেই বা এব্য়াপারে কেন কিছু জানানো হয়নি? এরপরই, ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর ব্য়াপারে কুন্তল ঘোষকে বিশেষ আদালতের সংশ্লিষ্ট ম্য়াজিস্ট্রেটের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কুন্তল ঘোষকে কলকাতা হাইকোর্ট যে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল, তার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।