অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: একবালপুরে তড়িদাহত হয়ে দু-জনের মৃত্যুর ঘটনায় আজ কলকাতা পুরসভায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, শহরের বাতিস্তম্ভের অবস্থা খতিয়ে দেখতে জয়েন্ট ইন্সপেকশন টিম তৈরি করা হবে। হুকিং রুখতে নেওয়া হবে আরও কড়া পদক্ষেপ।


একবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু-জনের মৃত্যুর ঘটনার পর, শহরের বাতিস্তম্ভের অবস্থা খতিয়ে দেখতে জয়েন্ট ইন্সপেকশন টিম তৈরি করল কলকাতা পুরসভা। রবিবার একবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জোড়া মৃত্যু হয়। বাড়ির বাইরে লোহার তারে কাপড় মেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ইজহার আখতার।


তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তড়িদাহত হন শাশুড়ি মুনতাহা বেগম ও তাঁর মেয়ে খায়রুল নেষা। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মা ও মেয়ে দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জখম হন জামাই। এই ঘটনায়, তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই, বুধবার কলকাতা পুরসভায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হল। 


কলকাতা পুরসভার কর্তাদের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন CESC, কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসাররা। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শহরের বাতিস্তম্ভের অবস্থা খতিয়ে দেখতে পুলিশ, কলকাতা পুরসভা এবং CESC-কে নিয়ে জয়েন্ট ইন্সপেকশন টিম তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি, হুকিং রুখতেও আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


হুকিংয়ের জেরে কারও মৃত্যু হলে, খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করা যায় কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।


কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়, দু-জন মারা গেছেন, সিইএসসি- জয়েন্ট ইন্সপেকশন কমিটি হবে, তারা বাতিস্তম্ভগুলো দেখবে। কলকাতা পুরসভার পাশাপাশি, একবালপুরের ঘটনায় নবান্নেও মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। 


উল্লেখ্য একবালপুরে অবৈধ বিল্ডিং গড়ে ওঠার অভিযোগ নিয়ে বামেদের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাম আমলে তৈরি হয়েছে অবৈধ বিল্ডিংগুলি। একবালপুরে বিদ্যুৎসপৃষ্ট হয়ে মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি। যার পাল্টা জবাব দিয়েছে বামেরাও। 


একবালপুরে গেছিলেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে, আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দিতে। সেখানে দাঁড়িয়েই অবৈধ বাড়ি তৈরির অভিযোগ নিয়ে বামেদের কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। 


গত রবিবার একবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জোড়া মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বাড়ির বাইরে লোহার তারে কাপড় মেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্থানীয় বাসিন্দা ইজহার আখতার। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তড়িদাহত হন শাশুড়ি মুনতাহা বেগম ও তাঁর মেয়ে খায়রুল নেষা।


এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মা ও মেয়ে দুজনকেই  মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জখম হন জামাই। মঙ্গলবার একবালপুরে গিয়ে মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুই পরিবারের হাতে আড়াই লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দেন। এই ঘটনার পর সিইএসসি ও পুলিশকে তাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।