সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: প্রথমে দাদাকে 'খুন', পরে বৌদিকে শাবল দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় বলে খবর। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার ক্ষেত্রাবাড়ির বালিয়াদিঘি গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম দীনবন্ধু পোদ্দার এবং কাজল পোদ্দার বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত, জগবন্ধু পোদ্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


কী ঘটেছিল?
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। খবর ছড়াতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দেহদুটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জগবন্ধু পোদ্দারের স্ত্রী বছর দুয়েক আগে মারা যান। তারপর থেকেই জমি-জায়গা নিয়ে পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল লেগেই থাকত। সেখান থেকে সম্ভবত এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে, অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। করণদিঘি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে। ভাইয়ের হাতে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর, এই রাজ্যে আগেও শোনা গিয়েছে। গত বছর জুন মাসে নদিয়ায় যে ঘটনা ঘটেছিল, তার স্মৃতিই হয়তো অনেকের মনে পড়ে যাবে। সে বার দাদার বাড়ি থেকে ভাইয়ের দেহ উদ্ধার হওয়ায় শান্তিপুর পুরসভায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তুমুল আলোড়ন শুরু হয়ে যায়। ঘটনার পর পরই পলাতক ছিল সন্দেহের নিশানায় থাকা দাদা। 


নদিয়ার ঘটনায় যাঁর দেহে মেলে, তাঁর নাম উত্তম প্রামাণিক বলে জানতে পেরেছিল পুলিশ। আদত বাড়ি শান্তিপুর থানা এলাকারই ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মামদোপাড়ায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, উত্তমের দাদা প্রবীর প্রামাণিক তাঁকে ঘটনার আগে আগে ফোন করেছিলেন। বাড়িতে কিছু কাজ আছে বলে উত্তমকে ডেকে নিয়ে আসে প্রবীর, এমনই বক্তব্য ছিল পরিবারের সদস্য়দের। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও দাদার বাড়ি থেকে ফেরেননি উত্তম। তাই সন্দেহ দানা বাঁধে উত্তমের পরিজনদের মনে। ফোনে খোঁজখবরের চেষ্টা করলেও দীর্ঘক্ষণ তা সুইচড অফ ছিল বলে জানায় যুবকের পরিবার। পর দিন সকালে, উত্তমের স্ত্রী প্রবীরের বাড়িতে এসে দেখেছিলেন, দরজা তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে তাঁর স্বামীর পায়ের চটি বাইরে পড়ে রয়েছে। কোনও ক্রমে জানলা ফাঁক করে স্ত্রী দেখতে পান, স্বামীর রক্তাক্ত দেহ ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে। এরপরই শান্তিপুর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। 


আরও পড়ুন:BJP-র হয়ে প্রচারে ঝড় তোলাই লক্ষ্য, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে তিন সভা মোদির