সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর : পুরভোটে (Municipality Election) নির্দল প্রার্থীকে হারানোর জন্য নানাভাবে চক্রান্ত করা হয়েছিল। নির্দল প্রার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে মেদিনীপুর পুরসভার (Midnapore Municipality) চেয়ারম্যানের এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। পুর চেয়ারম্যানের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিজেপি। বিতর্ক শুরু হতেই চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, এমন মন্তব্য তিনি করেননি। 


এ প্রসঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলছেন, বিভিন্ন ভাবে এই অর্পিতা নায়েককে হারাবার জন্য পুলিশ থেকে আরম্ভ করে অনেক রকম চক্রান্ত করেছে। পুলিশকে কাজে লাগিয়েছিল, বাইরে থেকে মস্তানদের কিছু এনেছিল।


পুরভোটে নির্দল প্রার্থীকে হারানোর জন্য নানাভাবে চক্রান্ত করা হয়েছিল। পুলিশকে কাজে লাগানো হয়েছিল।  বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এনেও ভয় দেখানো হয়েছে। নির্দল প্রার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের রাজনীতিতে। 


গত পুর নির্বাচনে,অর্পিতা রায় নায়েকের নাম তৃণমূলের প্রথম প্রার্থী তালিকায় থাকলেও দ্বিতীয় তালিকায় ছিল না। এরপরই, নির্দল হিসেবে ভোটের লড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জেতেনও। নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওয়, একটি অনুষ্ঠানে পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা সৌমেন খানকেই বলতে শোনা যায়, নির্দল প্রার্থী অর্পিতা রায় নায়েককে হারানোর সবরকম চেষ্টা হয়েছে। সৌমেন খানের আরও দাবি, শুধুমাত্র আপনারা তার পাশে থেকে তাকে রক্ষা করেছিলেন বলেই অর্পিতা নায়েক আজ আমাদের পুরসভায় কাউন্সিলর হয়েছে আপনাদের সেবা করার জন্য। পুলিশকে কাজে লাগিয়েছিল, বাইরে থেকে মস্তানদের কিছু এনেছিল। মা-বোনদের ভয় দেখানো থেকে আরম্ভ করে, কিন্তু পারেনি। আমাদের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে মানুষই শেষ কথা বলবে।


পুর চেয়ারম্যানের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিজেপি। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলছেন, আমরা আগেও বলতাম পুর-নির্বাচনে এইভাবে ভয় দেখিয়ে ভোট লুঠ হয়েছে। চেয়ারম্যান নিজে মুখেই সেই ভয় দেখানোর কথা, চক্রান্তের কথা স্বীকার করলেন ২৫ টি ওয়ার্ডে পুন -নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি।


বিতর্ক শুরু হতেই, অবস্থান বদল নয়। চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, এমন মন্তব্য তিনি করেননি। জেলা নেতৃত্বের সাফাই: পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজয় হাজরার কথায়, চেয়ারম্যান নতুন আনকোরা, সেই জন্য এই ধরনের মন্তব্য করেছেন কোথাও কোনও ভয় দেখানো ধমকানো হয়নি। যাঁকে নিয়ে করা মন্তব্য ঘিরে এত বিতর্ক সেই নির্দল কাউন্সিলর দাবি করেছেন,চেয়ারম্যান কি বলেছেন তিনি শোনেনি। তাঁর কথা বলেছেন বলে তাঁর মনে হয়নি।