সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: গোলপার্কের (golpark) কাছে পরিত্যক্ত বাড়িতে (deserted house) আগুন (fire)। সকাল ৮টা নাগাদ বাড়ির তিনতলায় আগুন লাগে। দমকলের ২টি ইঞ্জিন (fire tender)আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। কীভাবে পরিত্যক্ত বাড়িতে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 


কী পরিস্থিতি?
যে পরিত্য়ক্ত বাড়িতে আগুন লেগেছে, তার সামনেই সাউথ সিটি কলেজ। অভিভাবকরা দেখেন, উল্টো দিক থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আশপাশের বাসিন্দারাও খেয়াল করেন, ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে আশপাশ। খবর যায় দমকলে। আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে, তবে ধোঁয়া কমেনি। 'কুলিং ডাউন' প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, যে বাড়িতে আগুন লেগেছে তাঁর মালিক কয়েক মাস আগেই মারা যান। তা হলে কী ভাবে লাগল আগুন? খতিয়ে দেখতে চায় দমকল। এর মধ্যেই সিইএসই-র আধিকারিকরাও এর মধ্য়ে পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। তাঁরা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা অগ্নিকাণ্ডের উৎস সন্ধানও করবেন। তবে তিনতলার বড় অংশ এর মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাতসকালে আগুন লাগায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারাও কিছুক্ষণ উদ্বেগের মুহূর্ত কাটিয়েছেন। উল্লেখ্য গত কালই ট্যাংরায় কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 


আগুন ট্যাংরায়
গত কালের ওই ঘটনায় ট্যাংরার একটি প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগেছিল। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। চারপাশে ঘন জনবসতি থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কীভাবে আগুন লাগল, তা স্পষ্ট বুঝতে পারা যায়নি।  সম্প্রতি গড়িয়ার জনবহুল এলাকায় ভয়ঙ্কর আগুন লেগেও একই রকম আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। আগুনের গ্রাসে চলে যায় আস্ত একটি বাড়ি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ভোরবেলা এই আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ  গড়িয়ায় স্টেশনের কাছে  তেঁতুলবেড়িয়া এলাকায় আগুন লাগে। বাড়িতে কেউ থাকেন না বলেই খবর। বিধ্বংসী এই আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নাকানিচোবানি খেতে হল দমকলকর্মীদের। বহুক্ষণ  আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়া বাড়িটির ভিতরে ঢুকতেই পারেননি দমকল কর্মীরা। সকাল সাড়ে সাতটা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন পৌঁছায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়িতে কেউ থাকতেন না। স্পিকার তৈরির কারখানা হিসেবে বাড়িটি ব্যবহৃত হত।  ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আগুনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই আগুন যাতে পাশাপাশি বাড়িতে যেন না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্যই লড়াই চালান দমকল কর্মীরা।  এত ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা কীভাবে চলছিল ? কেন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও নেই সেখানে,  প্রশ্ন উঠছে। ডোমজুড়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে লরির গ্যারাজে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গ্যারাজটি। লরি ছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ি ও বাইক আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। গ্যারেজ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের কয়েকটি গোডাউনেও। আগুন নেভাতে কয়েক ঘণ্টার লড়াই দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের । বন্ধ গ্যারাজে ইলেকট্রিকাল শর্ট সার্কিট  থেকে আগুন লাগতে পারে, অনুমান দমকলের।


আরও পড়ুন:"শুভেন্দু কই ? ডিসেম্বরে নাকি সরকার পড়ে যাবে", ১২ কাটতেই তীব্র কটাক্ষ কুণালের