কলকাতা: ‘টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে’, সিঙ্গুর (Singur) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য (Rabindranath Bhattacharya)। ধর্নামঞ্চ ও আন্দোলনের কারণেই টাটা-রা সিঙ্গুর ছেড়েছিল।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  (Mamata Banerjee) উল্টো পথে হেঁটে মন্তব্য প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর। সিপিএমের জন্যই টাটা-রা চলে গেছে, তাতে আমি সহমত নই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য দল-সহ সবাই মিলে ধর্নামঞ্চ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল, মূলত সেই কারণেই টাটা-রা চলে গেছে বলে  নিরাপত্তার কারণেই টাটা গোষ্ঠী রাজ্য ছেড়েছিল বলে দাবি সিঙ্গুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর।          


আর এই প্রসঙ্গেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, "মাস্টারমশাইয়ের বয়স হয়েছে। কী বলছেন উনি জানেন না। সেই সময় উনি তো আমাদের সঙ্গেই আন্দোলনে ছিলেন। মাস্টারমশাই শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি।  এই বয়সে ওঁর বিশ্রাম নেওয়া উচিত"। সিঙ্গুরের প্রাক্তন বিধায়ক ও মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর এও বলেন, ‘রতন টাটার কাছে বিচার্য ছিল কারখানাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি। সেই সব ঘটনা থেকে নিরাপত্তার কারণেই সম্ভবত তিনি এখান থেকে কারখানা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন’।                                         


আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কালীপুজোয়, মুষলধারে বৃষ্টি- ঝোড়া হাওয়ার সম্ভাবনা


এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "ফিরহাদ হাকিম, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য কী বলছেন সেটা এখন আর কী হবে? বাংলার মানুষ জানে কী হয়েছে। শিল্প সম্ভাবনার মৃত্যু হয়েছে। এখন বাংলায় যা চলছে গৃহবধূ মন্ত্রীকে জুতো মারছে। সাধারণ মানুষ তৃণমূল নেতাদের দেখে চোর চোর স্লোগান তুলছে। মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবেই সিপিএমকে আইসিইউ থেকে বের করে আনতে এই মন্তব্য করেছেন। মানুষ এতটা অবিবেচক, অরাজনৈতিক নয়।"                                        


সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ফিরহাদ হাকিমের এত কথা শুনে লাভ কী? ১১ বছর পর মুখ্যমন্ত্রীর বোধদয় হয়েছে? টাটার বিদায়ের জন্য উনি পারলে প্রায় উৎসব করেছিলেন। তাঁর জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এখন খারাপ লাগছে তাই এসব বলছেন। মাথা খারাপ হয়ে লোকে এসব বলেই।"