রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর:  নামিদামী কোম্পানির কোম্পানির মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মূল পান্ডা সহ মোট পাঁচজনকে। এর মধ্যে দুজন তরুণীও রয়েছেন। এদের গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বহু নথি ও ব্যাঙ্কের কাগজপত্র। এদিন ধৃতদের বিধান নগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।


বৃহস্পতিবার দুপুরে সূত্র মারফত খবর পেয়ে বাগুইআটির রাজবংশী পাড়াতে হানা দেয় বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে একটি অবৈধ কল সেন্টার চলছে। যে কল সেন্টারটি সুজন দাস ও কুলেন ছেতিয়া নামে দুজনের নেতৃত্বে চলছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারা যায় অভিযুক্তরা বিভিন্ন নামি কোম্পানির মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে অবৈধ লোগো ও ভুয়ো চিঠি দিয়ে রাজ্যের মানুষকে প্রতারিত করত। ধৃতরা প্রায় লক্ষাদিক টাকা প্রতারণা করেছে বলে এখনও পর্যন্ত পুলিশ জানতে পেরেছে।


সেই অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ দুটি ল্যাপটপ, দশটি স্মার্টফোন, দুটি বাইক, প্রচুর পরিমাণে নথি ও ডাটা উদ্ধার করেছেন। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ডেবিট কার্ড কুড়িটি, চেকবুক ছটি। এই চক্রটির কি শুধু বাগুইআটি এলাকায় এদের অফিস রয়েছে নাকি অন্য কোথাও অফিস রয়েছে সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে এবং এর পাশাপাশি এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।


এদিকে, এবার ইডির নজরে এবার কল সেন্টার প্রতারণা চক্রের অভিযুক্ত কুণাল গুপ্তা । ইডি সূত্রে দাবি, কলকাতায় কল সেন্টার প্রতারণা চক্রের অভিযুক্ত কুণাল গুপ্তা। দীর্ঘদিন দুবাইতে ছিল অভিযুক্ত। তাঁর নামে লুক আউট সার্কুলারও জারি করে রেখেছিল ইডি। কয়েকদিন আগে নিজেই ইডির দফতরে চলে আসে কুণাল। রায়ের কপি দেখিয়ে দাবি করে, তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। ফলে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি ইডি। কুণালের বিরুদ্ধে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। একাধিক প্রভাবশালী যোগও থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কুণালের রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানাচ্ছে ইডি।


উল্লেখ্য, এর আগেও গত এপ্রিলে শহরে ভুয়ো কলসেন্টারের পর্দাফাঁস করেছিল পুলিশ (Police)। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় গোপন সূত্রে খবর এসেছিল যে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এর বেঙ্গল ইন্টেলিজেন্স পার্কের ১৩ তলায় বিনীত টেকনোলজিস্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ভুয়ো কল সেন্টার চলছে। এরপরে হানা দিয়েছিল বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।