সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : হুগলির (Hooghly) সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ জানায় পরিবারের। এই নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হল বিজেপি। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপরই চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ও ফার্মাসিস্টকে শোকজ করে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
গত ১১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের আউটডোরে দেখাতে আসেন এক রোগিণী। পরিবারের অভিযোগ, রোগিণীকে ৯ মাস আগে মেয়াদ ফুরোনো ওষুধ দেওয়া হয়। রোগিণীর পরিবারের অভিযোগ ভাইরাল হতেই শুরু হয় বিতর্ক। রোগিণীর ছেলে ভিডিও করে অভিযোগ জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে যে ওষুধ তাঁর মাকে দেওয়া হয়েছে, তাঁর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই। কীভাবে ৯ মাস আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ওষুধ রোগিণীকে এভাবে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। যুবকের গোটা ঘটনাক্রম নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে করা ভিডিওটি হয়ে যায় ভাইরাল। পরে মুখ্যমন্ত্রীর অফিশিয়াল পেজে হাসপাতাল থেকে দেওয়া প্রেসক্রিপশন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের ছবি পোস্ট করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসলেও, রাজনৈতিক কারণে অভিযোগ তোলা হতে পারে বলে বিতর্ক উসকে দিয়েছে তৃণমূল (TMC)।
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই এ বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভূঁইয়া বলেন, এই ধরনের ঘটনা সামনে আসার পরই হাসপাতাল সুপার ফার্মাসিস্টকে শোকজ করা হয়েছে। এটা নজর এড়িয়ে কিভাবে হল সেটার জন্য তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এমনকি রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরেও একটি রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক তিনমাস অন্তর ওষুধের ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হয়। এর জন্য হিসাবও রাখতে হয়। যিনি করেছেন, এটা কেন হয়েছে সেটা নিয়ে তথ্য পেতেই শোকজ করা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীকে।.
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন