Hooghly News: মানবিকতার দৃষ্টান্ত, ভুল স্টেশনে নামা পরীক্ষার্থীকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দিল চুঁচুড়া থানার পুলিশ
West Bengal Police: ব্যান্ডেলের বদলে চুঁচুড়া স্টেশনে নেমে যান সুরজ কুমার সাউ। ঘটনা দেখে চুঁচুড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর সমীর কর্মকার নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীকে পৌঁছে দেন পরীক্ষাকেন্দ্রে।

সৌরভ বন্দোপাধ্যায়, হুগলি: নিত্যদিন রাজ্যের আনাচে, কানাচে কতক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠে, বিক্ষোভ হয়। কিন্তু এ ছবিটা যেন। এই ছবিটা মানবিকতার। পরীক্ষা দিতে এসে ভুল স্টেশনে নেমে চরম বিপাকে পড়েছিলেন পরীক্ষার্থী। হাতে সময় কম, পকেটে ভাড়া নেই, এমন অবস্থায় উদ্ধার করলেন পুলিশই।
হুগলি (Hooghly News) পুলিশের চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে ভুল স্টেশনে নেমে পড়েছিলেন পরীক্ষার্থী। চুঁচুড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর সমীর কর্মকার নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীকে পৌঁছে দেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। ঘটনাটি গতকালের। পূর্ব বর্ধমান জেলার শর্মাপাড়া কদমতলার বাসিন্দা সুরজ কুমার সাউ শনিবার পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষায় বসতে আসেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল সাহাগঞ্জের শ্যামাপ্রসাদ ন্যাশনাল হাই স্কুলে।
কিন্তু ভুল করে ব্যান্ডেলের বদলে চুঁচুড়া স্টেশনে নেমে যান তিনি। ভুল স্টেশন, অপরিচিত জায়গা আর পরীক্ষার চাপ। এমন পরিস্থিতিতে যে কারুর ঘাবড়ে যাওয়ার কথা। উপরন্তু যদি পকেটে টান থাকলে, তাহেল তো কার্যত মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম হয়। সুরজেরও এমন অবস্থাই হয়েছিল। কিন্তু এই সময় পুলিশই এগিয়ে আসেন ।
চুঁচুড়া স্টেশনে নামার পর নিজের পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সেখান থেকে টোটো বা গাড়ি পাচ্ছিলেন না সুরজ। যাত্রাভাড়া দেওয়ার মতো টাকাও ছিল না তাঁর কাছে। ঠিক সেই সময় স্টেশন এলাকায় টহলরত চুঁচুড়া থানার অফিসার সমীর কর্মকারের নজরে পড়ে ঘটনাটি। তিনি দেরি করেননি। পরিস্থিতিবুঝে বিপদে পড়া পরীক্ষার্থকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। বিনা দ্বিধায় নিজের গাড়িতে করেই সুরজকে সাহাগঞ্জে তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন ওই পুলিশ।
এত যুদ্ধের পর অবশেষে সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে সুরজের মুখে হাসি ফোটে। তিনি কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠেন সুরজ। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে চুঁচুড়া থানার এক আধিকারিক জানান, 'চুঁচুড়ায় কয়েকটি স্কুলে এদিন এসআই পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছিল। বিভিন্ন জেলা থেকে lপ্রচুর পরিমাণে পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসতে এসেছিলেন। যাতে কোনও পরীক্ষার্থী সমস্যায় না পড়েন, সেই বিষয়ে আমরা তৎপর ছিলাম। এই কারণেই সকাল থেকে টহল ও নজরদারিও চলছিল।'
পুলিশের সাহায্যে পুলিশেরই চাকরির পরীক্ষায় বসা এই ঘটনাটি কিন্তু অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা স্বভাবতই এই বিষয়ে খুশি। তাঁরা বলছেন, 'এটাই প্রকৃত পুলিশি মানসিকতা, এভাবেই তো মানুষের পাশে থাকতে হয়।






















