কলকাতা: গ্রুপ D-তে OMR শিট বিকৃতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Biswajit Basu)। যাঁরা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন দুপুর ৩টের মধ্যে তাঁদের তালিকা তুলে দিতে সময়সীমা দিলেন পর্ষদকে। "দুর্নীতির জেরে ইতিমধ্যেই ছাত্রদের ক্ষতি হয়েছে। আর নয়, একদিনও এদের স্কুলে ঢুকতে দেব না।'' মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।                                                           

  


কড়া অবস্থান নিলেন বিচারপতি: শিক্ষক হোক বা অশিক্ষক কর্মী, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের প্রতিটি ধাপেই ছড়িয়ে রয়েছে দুর্নীতির জাল। গ্রুপ D কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও হয়নি ব্যতিক্রম। এদিনের শুনানিতে গ্রুপ ডি শিট বিকৃতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন বিচারপতি। কত সংখ্যক বিনিয়োগ? তা জানতে চান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। রাতারাতি তালিকাও চেয়ে পাঠান তিনি। আজই তুলে দিতে হবে এই তালিকা। বেলা ৩টের মধ্যে তালিকা তুলে দিতে পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 


এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি করে CBI। সোমবার গ্রুপ D নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উপস্থিত হন CBI-এর বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান অশ্বিন শেনভি। আদালতে তিনি দাবি করেন, মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট, ‘গ্রুপ D’ কর্মী নিয়োগে প্রতিটি ধাপেই ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এখনও অবধি গ্রুপ C, গ্রুপ D, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে প্রায় ২১ হাজার পদে দুর্নীতির তথ্য সামনে এসেছে। বিকৃত করা হয়েছে ৯ হাজার OMR শিট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন,এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার। যারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। যা সাহায্য লাগবে, আদালতে এসে জানাবেন। সবরকম সাহায্য করবে আদালত।


এদিকে OMR শিট নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন মামলাকারীর আইনজীবী। 'কেন রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ না দিলে ওএমআর দেখা যাচ্ছে না?' কেন এই আড়াল? স্বচ্ছতা নেই? আশ্চর্য হলাম! দেখে আদালত খুশি নয়'। মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly)। কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ। 'কৈফিয়ত দিতে হবে কেন 'স্বচ্ছতা' রাখা হয়নি?' প্রশ্ন আদালতের। টেকনিক্যাল সমস্যা আছে, আপলোডিং শেষ হয়নি, আজকের মধ্যে শেষ হবে, জানাল কমিশন।


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সভা ঘিরে জটিলতা, অনুমতি মিলল না মহকুমাশাসকের