সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: OMR শিট নিয়ে এবার এসএসসির কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) কীভাবে ওএমআর (OMR) শিটে কারচুপি হয়েছিল? রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। অন্যদিকে, তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট চাওয়া হল সিবিআইয়ের (CBI) থেকে। 


ওএমআর শিট বিকৃতিকাণ্ডে নতুন করে অস্বস্তি বাড়ল এসএসসির (SSC)। একাদশ-দ্বাদশ ওএমআর 'কারচুপি'তে রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Biswajit Basu)। ২৮ জুনের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। 


এর আগে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Corruption) ৮ হাজারের বেশি OMR শিট বিকৃত করা হয়েছে বলে আদালতে দাবি করে সিবিআই (CBI)। বিআইয়ের দাবি, এর মধ্যে নবম-দশমের শিক্ষক পদে ৯৫২টি, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক পদে ৯০৭টি, গ্রুপ সি-তে ৩ হাজার ৪৮১টি এবং গ্রুপ ডি-তে ২ হাজার ৮২৩টি OMR শিট বিকৃত করা হয়েছিল।                        


বৃহস্পতিবার, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ৯০৭ টি ওএমআর কারচুপির ধরণ কী? এই ওএমআর প্রকাশ করা যায়নি কেন? প্রকাশ করা গেলে কবে করা যাবে? রিপোর্টে বিস্তারিত জানাতে এসএসসিকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। অন্যদিকে, তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট চাইলেন সিবিআইয়ের (cbi) কাছ থেকে এর আগে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে নীলাদ্রি দাসকে।                                                                                                     
 
গাজিয়াবাদের ওএমআর শিট প্রস্তূতকারী সংস্থা নাইসা-র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন নীলাদ্রি। এসএসসি-র (SSC) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। শিক্ষা দফতরের কোন কর্তার নির্দেশে ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল? সেই তথ্যই বারবার জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার একাদশ-দ্বাদশে ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়ে এসসসির (SSC) কাছে ২০ দিনের মধ্যে তথ্য চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।