হাওড়া: আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan) মৃত্যুতে এখনও ধোঁয়াশা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, শুক্রবার রাতে আনিসের বাড়িতে পুলিশ আসেনি। যদিও আনিসের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় আদালত থেকে ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে সমন জারি হয়।
পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কারও সঙ্গে আনিসের ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কিনা। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ফরেন্সিক দলকে ডাকা হচ্ছে। এদিন হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে, ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে এসএফআই-এর বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে।
হাওড়ার আমতায় পুলিশের পোশাকে বাড়িতে ঢুকে ছাত্রনেতাকে খুনের অভিযোগ পরিবারের। তিন তলা থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, খুন-তথ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে পার্ক সার্কাসে বিক্ষোভ-রাস্তা অবরোধ। যাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। আনিসের রহস্যমৃত্যু ও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিয়ে, মঙ্গলবার মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশের পোশাকে বাড়িতে ঢুকে খুনের অভিযোগ। হাওড়ার আমতায় ISF’র ছাত্রনেতার রহস্যমৃত্যু! বাড়ির ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পরিবারের। মৃতের নাম আনিস খান!
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই ছাত্রনেতা, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস কমিউনিকেশনে স্নাতকোত্তর করছিলেন। একইসঙ্গে, বিভিন্ন গণআন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা ISF করতেন বলে দাবি স্থানীয়দের। পরিবারের দাবি, শুক্রবার স্থানীয় একটি জলসায় যান আনিস। রাতে সেখান থেকে ফেরার পর, তাঁর খোঁজে বাড়িতে আসেন চার জন।
এঁদের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাকে ছিলেন। তাঁর হাতে ছিল বন্দুক। ও বাকি তিন জন সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক পরে ছিলেন। পরিবারের আরও দাবি, বাবাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে আটকে রেখে আনিসকে তিন তলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপরই, বাড়ির নীচ থেকে আনিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর! পুলিশের পোশাকে কারা এসেছিল বাড়িতে? এই প্রশ্নের মুখে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মৃতের বাড়িতে পুলিশের কেউ যায়নি
স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় প্রতিবাদী হিসেবে আনিসের পরিচিতি ছিল। NRC বিরোধী আন্দোলনের সময়, প্রথম সারিতে ছিলেন আনিস। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর (Umar) খালিদের গ্রেফতারির সময়ও সোশাল মিডিয়ায় সরব হন তিনি।
আমতায় রহস্যমৃত্যু গভীর রাতে পুলিশের পোশাকে বাড়িতে কারা? তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।