সুনীত হালদার, হাওড়া: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগিণীর মৃত্য়ুর অভিযোগে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে দফায় দফায় নার্সিংহোম ভাঙচুর করা হল। মৃতদেহ নিয়ে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করেন মৃতের পরিজনেরা। একঘণ্টা অবরোধ চলার পর, পুলিশ ও র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচারের জন্য রবিবার নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় বছর ৪৫-এর মিনতি পাঁজাকে। অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হওয়ায়, গতকাল বিকেলে রোগিণীকে এসএসকেএমে রেফার করা হয়। রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় মহিলার। এরপরই নার্সিংহোমে ভাঙচুর চলে। আজ সকালেও ভাঙচুর করা হয়। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগিণীর মৃত্য়ুর অভিযোগে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল হাওড়া-আমতা রোড। মৃতদেহ নিয়ে একঘণ্টা ধরে চলল পথ অবরোধ। মৃতের পরিজনেরা দফায় দফায় নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। যদিও গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। মৃতের আত্মীয় সুজাতা পাঁজার অভিযোগ, পুলিশ কিছু করছে না, বড়গাছিয়ায় প্রশাসন বলে কিছু নেই, চিকিৎসককের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হোক। নার্সিংহোম সিল করে দেওয়া হোক। যদিও এই ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পশ্চিম মেদিনীপুরে হাসপাতালে উত্তেজনা: এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রসাদ খেয়ে তরুণের মৃত্যুতে (Youth Death) উত্তেজনা দেখা দেয় ডেবরা হাসপাতাল (Debra Super Speciality Hospital) চত্বরে। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ ঘোড়াই। বয়স ২১ বছর।
কী জানা গিয়েছে? প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই তরুণের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার অন্তর্গত ডুঁয়া অঞ্চলের পদিমা গ্রামে। গত শুক্রবার ডেবরা থানার ডুঁয়া অঞ্চলের পদিমা গ্রামে একটি ভূষিমাল দোকানে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে হালখাতার অনুষ্ঠানে চিড়ে ও ফলপ্রসাদ খাওয়ানো হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষ সেই প্রসাদ খেতে যান। স্থানীয়দের দাবি, ওই প্রসাদ খাওয়ার পরই এলাকার ৫৭ জন বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের বমি-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। অসুস্থদের শনিবার ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল প্রত্যেকের। হঠাতই চিকিৎসাধীন অবস্থায়, গত কাল রাতে বিশ্বজিৎ ঘোড়াই নামে ওই তরুণের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে বিশ্বজিতের। খবর শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত তরুণের পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমনই যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ডেবরা থানার পুলিশ। তবে গোটা পর্বে এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া আসেনি।