সুনীত হালদার, হাওড়া: স্কুলে ভর্তির সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে হাওড়ার (howrah) ডোমজুড়ের (domjur) বেগড়ী হাইস্কুলে বিক্ষোভ। ওই স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম  শ্রেণীর ছাত্র ভর্তির সময় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি ফি ২৪০ টাকার বদলে কারো থেকে ৫০০ আবার কারো থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। যদিও স্কুল থেকে 2২৪০ টাকার রশিদ দেওয়া হচ্ছিল। এই নিয়ে একশ্রেণীর অভিভাবক কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করেন।


আজ ডোমজুড়ের (domjur) স্কুলের সামনে অভিভাবকরা এবং এসএফআই কর্মীরা বিক্ষোভ দেখালে বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ। অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলে আংশিক শিক্ষকদের মাইনে এবং উন্নয়নের নামে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও ২৪০ টাকার রশিদ দেওয়া হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বে-আইনি। স্কুল কমিটির সভাপতি শামসুদ্দিন লস্কর স্বীকার করেছেন অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে তা অনুদান হিসেবে স্কুল উন্নয়নের জন্য। তবে যারা দিতে পারছেন না তাঁদের থেকে জোর করে নেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন। এই নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন।


এদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (University Of Calcutta) পড়ুয়া বিক্ষোভ( Students Protest)। মাস্টার্সে আসন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভের উত্তপ্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।  উপাচার্যের সামনে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। অফিস থেকে বেরোনোর সময় উপাচার্যর গাড়ির সামনে বসে পড়েন পড়ুয়ারা। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশের বিশাল বাহিনী রয়েছে ঘটনাস্থলে। উপাচার্য বেরোতে না পারায় জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ পড়ুয়াদের সরানোর চেষ্টা করে।


বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু স্নাতকোত্তর স্তরে আসন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে তিনি কোনও কথা বলেননি। সেই কারণেই তাঁরা তাঁর গাড়ির সামনে বসে পড়েন। বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি সম্পর্কে উপাচার্যর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।