দীপক ঘোষ, রুমা পাল ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ার (Kolkata, Howrah)পুরভোট করা নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। অন্যদিকে ফেব্রুয়ারিতে সব পুরসভার একসঙ্গে ভোট, ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর মতো একাধিক আবেদন নিয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি (BJP)।
একইসঙ্গে পুরভোটেরও প্রস্তুতি শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার কলকাতা ও হাওড়ার জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসে রাজ্য বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের উপস্থিতিতে প্রথমে হাওড়া জেলার পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে পুর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। যার নেতৃত্ব দেবেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী।
কলকাতার পুরভোটের কথা মাথায় রেখে গড়া হয়েছে চারটি কমিটি। যেগুলির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, রুদ্রনীল ঘোষ, তুষার ঘোষ এবং কল্যাণ চৌবে। পুরভোটের প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রচার, সবেরই দায়িত্বে থাকবে এই কমিটি। অন্যদিকে কলকাতার বৈঠকে ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এদিনের বৈঠকে রথীন চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বালির প্রাক্তন বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া।
তৃণমূল ছেড়ে এই তিনজনই এবছরের শুরুতে চাটার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়ে অমিত শাহর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর বালি থেকে বৈশালী ডালমিয়া, শিবপুর থেকে রথীন চক্রবর্তী ও ভবানীপুর থেকে রুদ্রনীল ঘোষকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করে বিজেপি। কিন্তু তিনজনই হেরে যান। বদল আসতে চলেছে হাওড়া পুরবিন্যাসেও।
২০১৫ সালে ৫০ ওয়ার্ডের হাওড়া পুরসভার সঙ্গে ১৬ ওয়ার্ডের বালি পুরসভাকে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে মোট ওয়ার্ড বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬টি। কিন্তু ফের হাওড়া পুরসভার আওতা থেকে বাদ যাচ্ছে বালি পুর এলাকা। এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে হাওড়া পুর আইন সংশোধন করে, বালি পুরসভাকে হাওড়া থেকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঠিক হয়েছে, শুক্রবার বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিল আনা হবে। চলতি মাসের শুরুর দিনেই রাজ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যের পুরভোট হবে বলে সূত্রের খবর। কলকাতায় ৪ হাজার ৭০০ বুথ এবং হাওড়ায় ১ হাজার ২১৩ বুথে ভোটগ্রহণ হবে।
১২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ইভিএমের ফার্স্ট লেভেল চেকিং। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সাধারণত সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চললেও, এবার পুরভোটের সময়সীমা সকাল ৭টা থেকে বেড়ে সন্ধে সাড়ে ছটা পর্যন্ত হতে পারে।