হাওড়া: নবান্নের (Nabanna) কাছে শিবপুর ব্যাতাইতলায় পিডব্লুডি অফিস (PWC Office) ও গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। গোডাউনে রাখা দাহ্য পদার্থে আগুন লাগে (Howrah Fire)। জানা গিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে। 


দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। মুহূর্তের মধ্যে ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রতিমার কাঠামো। শুক্রবার সন্ধে সোওয়া ছ’টা নাগাদ, শিবপুরের ব্যাতাইতলায় আগুন লাগে। যেখান থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নের দূরত্ব মাত্র ৫০ মিটার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পূর্ত দফতরের অফিসের পাঁচিলের বাইরে, ডাঁই করা রাখা ছিল প্রতিমার কাঠামো, খড়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। 


ব্যাতাইতলার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এখানে ঠাকুর তৈরি হত, পিডব্লুডির অফিস। অফিসে বাউন্ডারির বাইরে আগুন লেগেছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে মন্দিরতলা যাওয়ার রাস্তার নীচে জড়ো করে রাখা কাঠামোর আগুন পৌঁছে যায় পূর্ত দফতরের অফিস চত্বরে। অফিসের বাইরে পড়ে থাকা তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দফায় দফায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। 


গত ৭ নভেম্বর শহরে জোড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে (Fire at kolkata)। ট্যাংরায় (Tangra) ভস্মীভূত হয়ে যায় ৩টি গুদাম। শোভাবাজারে (Sovabazar) পুড়ে যায় একটি টালির বাড়ি। গতকাল রাত ৩ টে নাগাদ প্রথমে ট্যাংরার পিলখানা রোডে প্লাস্টিকের স্ক্র্যাপের গুদামে আগুন লাগে। তা ছড়িয়ে পাশের আরও ২টি গুদামে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিনের ঘণ্টা-দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেও পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৩টি গুদাম।


পাশাপাশি, ভোর ৪টে নাগাদ শোভাবাজারের (Sovabazar) হরি বোস লেনে টালির বাড়িতে আগুন লাগে। দমকলের (Fire Bridged) বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। তাঁরাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ঘরে ৬টি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। বিস্ফোরণের আশঙ্কায় সেগুলিকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়। দমকলের ২টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ঘণ্টাদেড়েক পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুটি ক্ষেত্রেই অগ্নিকাণ্ডের কারণ স্পষ্ট নয়। 


গত ১ নভেম্বর খিদিরপুরের (Khidirpur) ফ্যান্সি মার্কেটের উল্টোদিকে গ্রিন প্লাজা মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগে। খিদিরপুরে ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের পাইকারি বাজারে আগুন লাগে এদিন (Fire At khidirpur)। দমকলের ৪টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।


এই একই দিন বেলার দিকে রিজেন্ট পার্ক থানা (Regent Park Police Station) এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। পেশায় পুরোহিত ওই যুবক বাড়িতে একাই থাকতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকালে বাড়িতে আগুন লাগার পর তিনি বের হতে পারেননি। দমকল সূত্রে খবর, কী থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।


কালীপুজোর রাতেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে জেলায়। শান্তিপুরের সুতোর গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বাঁধে। হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত্রি সাড়ে দশটা নাগাদ ওই এলাকার বাসিন্দা জগদীশ চন্দ্রের শাড়ি তৈরির সুতো মজুত করে রাখা গোডাউনে হঠাৎই ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। 


আগের রাতে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বসন্তপল্লিতে একটি সুতোর গোডাউনে আগুন লাগে। নিমেষে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। শাড়ি তৈরির জন্য ওই গোডাউনে সুতো মজুত করে রাখা হয়েছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, কালীপুজো উপলক্ষে অনেকেই ফানুস ওড়ায়। সেই ফানুসের আগুনের ফুলকি কোনওভাবে গোডাউনে পড়ে। এরপরেই আগুন ধরে যায়।