উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায় ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: তৃণমূল (TMC) যখন লাগাতার সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তখন এই ইস্য়ুতে চাঞ্চল্য়কর দাবি করলেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা ও পিডিএসের রাজ্য় সহ সভাপতি সমীর পুততুন্ড। তাঁর দাবি, এই চাকরির জন্য় তিনিই সুপারিশ করেছিলেন! এনিয়ে পাল্টা মুখ খুলেছেন সুজনও।
সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে,গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে এনিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন একদা সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ও বর্তমানে পিডিএস নেতা সমীর পুততুন্ড। তাঁর দাবি, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরির জন্য়, তিনি নিজে সুপারিশ করেছিলেন!
পিডিএস নেতা সমীর পুততুন্ডর কথায়, মিলির চাকরির সুপারিশ আমি করেছি। আমি দায়িত্বে ছিলাম। কারণ বিয়ে হবে, সংসার করবে। তাই চাকরির সুপারিশ।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়ের আবহেই, বাম জমানায় চিরকুটে চাকরির দাবিতে সরব হন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়! এই চিঠি সামনে রেখে, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার তাদের ট্য়ুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়, চাকরি কেলেঙ্কারি ফাঁস! প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কখনও কোনও পরীক্ষায় পাস করেননি। কিন্তু, ৩৪ বছর ধরে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে কাজ করেছেন।
২০২১ সালে অবসর নেওয়ার সময়, তাঁর বেসিক ছিল ৫৫ হাজার টাকা। এছাড়াও তিনি পেনশনের সুবিধে পান। কাহিনির মূল সারাংশ হল, সিপিএমের ক্ষমতার অপব্যবহারের শেষ নেই! এরপর বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রীও।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গত শুক্রবার বলেছিলেন,পার্থ ভৌমিক ও কুণাল ঘোষ যদিও কোথাও বলে থাকেন, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর বাম জমানায় চাকরি পাওয়া নিয়ে। ওদের দেওয়া নথি ঘেটে দেখতে পাচ্ছি, ওনার ক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষা হয়েছিল কি না, তা পরিষ্কার নয়। এখন যদি হঠাৎ দফতর থেকে তদন্ত শুরু করি, মমতা বলতে পারেন আমার সঙ্গে কথা না বলে, আমার সরকারি কর্মীর সঙ্গে তদন্ত করছ কেন? তখন কোনও সদুত্তর দিতে পারব না।
তার তিনদিন পর সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন সমীর পুততুন্ড। পাল্টা জবাব দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তীও। রাজ্য় সহ সভাপতি সমীর পুততুন্ডর কথায়, এটা তৎকালীন পার্টির পলিসি ছিল। হোলটাইমারদের একজন করে চাকরি। মিলির বিষয়টা আরও অনেক প্রার্থী ছিল। যাদবপুরের প্রার্থীদের না করে সোনারপুর থেকে এনেছি। এই নয়, যে ও একমাত্র যোগ্য়। আমরাই সুপারিশ করেছি। আমাদের মারফত অনেক কাজ হয়েছে। প্রাক্তন সিপিএম নেতার এই দাবির পর এই ইস্য়ু ঘিরে বিতর্কের জল কোনদিকে গড়ায়, সেটাই এখন দেখার।