সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা :  সরকারি অফিসে ধর্মঘট ( DA Strike ) রুখতে কড়া বিবৃতি জারি করেছে নবান্ন ( Nabanna ) । কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না, সরকারের নির্দেশিকায় উল্লেখ। 'ধর্মঘটে সামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন, করা হবে শো-কজ' অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় উল্লেখ। 



এই নির্দেশের পাল্টা, ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার দাবি জানিয়ে চিঠি কর্মচারী সংগঠনের। অতিরিক্ত মুখ্য় সচিবকে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতির যৌথ কমিটির সদস্য়রা । 


তাৎপর্যপূর্ণভাবে ধর্মঘটের ঠিক আগের রাতেই, বিবৃতি জারি করে, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন,' কয়েকজন সরকারি কর্মী কয়েক সপ্তাহ ধরে অনশন করছেন জেনে আমি বেদনাহত। তাঁদের দাবির প্রতি অঙ্গীকার এবং সহকর্মীদের প্রতি দায়বদ্ধতা বুঝতে পারছি এবং তা প্রশংসনীয়ও। জীবন মূল্যবান, তাই প্রত্য়েককে অনশন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করছি। সব সমস্যারই একটা সমাধান আছে। আমি বিশ্বাস করি, এই পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করতে সব পক্ষই এক সঙ্গে কাজ করবে। ' যদিও, আপাতদৃষ্টিতে সমাধানের কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না। আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট নিয়ে, অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় এবারও পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, 
- শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। 
 - ধর্মঘটে সামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। 
 -সেইসঙ্গে শোকজ করা হবে।


পুরসভায় মিছিল


শুক্রবার ধর্মঘটের আগে আগে বকেয়া DA ইস্য়ুতে ধর্মঘটের সমর্থনে বৃহস্পতিবার পুরসভায় মিছিল করেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ও বাম প্রভাবিত পুর-কর্মচারী সংগঠন জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রেড ইউনিয়ন। মিছিল ফের পুরসভায় ঢুকতে গেলে মেন গেটে তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ।  খাদ্য ভবনেও ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। আবার সেখানেই পাল্টা মিছিল করেন তৃণমূলপন্থী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সদ্যরা। বিকাশ ভবন থেকে পূর্ত ভবন পর্যন্ত ধর্মঘটের বিরোধিতায় মিছিল করেন তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মীরা।


৪৩ দিন ধরে অবস্থান                       


বকেয়া DA'র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে ৪৩ দিন ধরে অবস্থানে চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার ২৮ দিনে পড়েছে তাঁদের অনশন কর্মসূচি। বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধীরা। এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটে সাধারণ মানুষ ও ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দিচ্ছেন DA-আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীরা।                   


অন্যদিকে, ডিএ ধর্মঘটে কোনও সরকারি কর্মী অফিসে না এলে, রাজ্য সরকারের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তৃণমূলও। এবং সেই ব্যবস্থা হবে আরও কড়া। দিনহাটায় বিডিও অফিসে ঢুকে পদস্থ সরকারি কর্তাকে এভাবেই হুমকি দিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি! যদিও ডিএ আন্দোলনকারীদের সংগঠন তাতে আমল দিতে নারাজ।