প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: প্রাথমিক টেট-দুর্নীতি মামলায় (West Bengal Board Of Primary Education) শহর জুড়ে সিবিআইয়ের (CBI) তল্লাশি অভিযান। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) বাড়িতে সিবিআই। যাদবপুরে মানিক ভট্টাচার্যর দু'টি বাড়িতে সিবিআই হানা (Kolkata News)।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হানা সিবিআই-এর
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেও সিবিআই টিম। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রাথমির টেট মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কলকাতার মোট ৬টি জায়গায় অভিযান চলছে। এই দলে রয়েছেন ৫০-৬০ জন সিবিআই অফিসার।
আরও পড়ুন: South 24 Paraganas: তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ক্যানিংয়ে
আগে থেকেই প্রাথমিক টেট মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশে এর আগে মানিককে জেরাও করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আদালতের নির্দেশের পর, সিবিআই দফতরে হাজিরাও দেন মানিক। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে।
এর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৫০-৬০ জন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দল নিয়ে তল্লাশি অভিযান চলছে। সঙ্গে রয়েছে ,সিআরপিএফ-ও। পলাশীপাড়ার বিধায়ক মানিক, প্রাথমিক পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। তাঁর সচিব ছিলেন রত্না চক্রবর্তী। তাঁর বাড়িতেও গোয়েন্দারা হানা দিয়েছেন।
এর আগে, মানিক এবং তাঁর নিকট আত্মীয়দের সম্পত্তির হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত জানায়, হলফনামায় উল্লেখিত সম্পত্তির বাইরে, পরে অন্য কোনও সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করতে পারবেন না মানিক। বিচারপতির একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মানিক ভট্টাচার্যকে।
নজরে প্রাথমিকে দু্র্নীতি
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে হাজিরও হন মানিক ভট্টাচার্য। ৫ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁর, তাঁর স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ ও কন্যার সম্পত্তির হিসেব জমা দিতে বলা হয়েছিল। তাতে ফ্ল্যাট, জমি, বাড়ির কথা জানিয়েছিলেন তিনি।