নন্দীগ্রাম: যত কাণ্ড নন্দীগ্রামে (Nandigram)! ভেটুরিয়া (Veturia) সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ঝরল রক্ত। সিভিক ভলান্টিয়ারের (Sivic Volanteer) সামনেই করা হল বাঁশপেটা! পুলিশের সামনেই চলল বাঁশ হাতে দাপাদাপি! সমবায় ভোটে বহিরাগত জড়ো করার অভিযোগ তুলে একে অপরকে নিশানা করেছে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)।  


ভোট আর হিংসা, বাংলায় যে সমার্থক, আরও একবার দেখা গেল সেই ঝলক। হলই বা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট! লার সদা-আগ্রাসী, যুযুধান রাজনীতিতে অশান্তি হবে না, তা কি হয়! বিশেষ করে জায়গার নাম যখন নন্দীগ্রাম, তখন তো আর কোনও কথাই থাকে না! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিধানসভা কেন্দ্রে সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটেও ঝরল রক্ত! সংঘর্ষে আহতকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যেতে হল এলাকা থেকে!


পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছল, পুলিশ, RAF থাকতেও নামাতে হল EFR জওয়ান! ই হল নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। এই সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরেই শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা আর সংঘর্ষ দেখলেন এলাকার বাসিন্দারা।  বহিরাগতদের জড়ো করার অভিযোগ তুলে একে অপরকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি আর তৃণমূল। তা নিয়েই যত অশান্তি। আর তা থেকেই সংঘর্ষ। 


তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সদস্য বটকৃষ্ণ দাসের কথায়, সমবায় ভোট নিয়ে গতকাল রাত থেকে তৃণমূল এখানে বহিরাগত জমা করেছে। আমাদের বেশ কিছু কর্মী সমর্থককে বেধড়ক মার। ভোটারদের ভোট দিতে পারছে না। লাঠি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে অ্যাটাক করা হচ্ছে। আমাদের ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি।


তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলকংগ্রেস সভাপতিআব্দুস সামাদের কথায়, য় গেরুয়া ব্যাজ আছে। ৭০ থেকে ৮০ জন ঢুকে গেল। বহিরাগত সব। তারা এখানকার ভোটার কেউ নয়। ভিতরে আছে ৫০-৬০ জন। ওদেরকে বের না করা পর্যন্ত ভোট বয়কট থাকবে। সংঘর্ষে একজনের মাথা ফেটেছে। দুপক্ষের মোট ৪ জন আহত। বাগযুদ্ধের পারদও চড়ছে। অশান্তি এড়াতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।


দেগঙ্গায় ধুন্ধুমার: উল্লেখ্য, এই একই দিনে দেগঙ্গায় ধুন্ধুমার বাধে। দেরিতে আসায় খাতায় সই করতে দেননি অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা। সেই রাগে শিক্ষিকার গলা টিপে ধরে উনুনের মধ্যে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রাঁধুনির বিরুদ্ধে। এনিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার দোহাড়িয়ায়। অঙ্গনওয়াড়ির রাঁধুনিকে মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাঁধুনিকে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযুক্ত রাঁধুনিকে আটক করেছে পুলিশ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকাকে।