রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) ঔরঙ্গাবাদের বাড়ি ও কারখানায় অভিযান চালাল আয়কর দফতর (Income Tax Department)। অভিযান চালানো হয় একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও। ঠিক কী কারণে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আয়কর তল্লাশি, তা স্পষ্ট নয়।


বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা


মুর্শিদাবাদের ঔরঙ্গাবাদের বাড়ি, সুতি থানা এলাকার তেলের মিল, জুট মিল থেকে রঘুনাথগঞ্জ রাইস মিল। বুধবার ১০ ঘণ্টা ধরে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি ও কারখানায় তল্লাশি অভিযান চালাল আয়কর দফতর।

ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সাড়ে ৮টা। আয়কর দফতরের ২০টি গাড়ির কনভয়ে এসে পৌঁছয় সুতিতে। আধ ঘণ্টার মধ্য়েই ১৫জন আধিকারিক তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের ঔরঙ্গাবাদের বাড়িতে ঢোকেন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির গেটের দখল নিয়ে নেয় CISF।

সূত্রের খবর, নথি যাচাইয়ের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূল বিধায়ককেও। জাকির হোসেনের আইনজীবী লোহারাম রায়ের কথায়, 'আমরা সব দিয়েছি। আরও যা চাইবেন দেব।' তৃণমূল বিধায়কের পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় জাকির হোসেনের ম্যানেজার-সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও। কেন হঠাৎ তৃণমূল বিধায়ক-সহ একের পর এক ব্যবসায়ীর বাড়ি-কারখানায় আয়কর দফতর হানা দিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ইঙ্গিত করেছেন জাকির হোসেন। জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের দাবি, 'আমি এই জেলায় সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স দিই। ব্যবসা করি। ভুল থাকতেই পারে। এই ভাবে রেইড করা উচিত হয়নি। সহযোগিতা করেছি। আগামীতেও করব। আমি শাসকদলের প্রতিনিধি বলেই করল।'


আরও পড়ুন: Sugar Mill Corruption Case: মহারাষ্ট্রের চিনিকল দুর্নীতি মামলায় কলকাতার অফিসে ইডি হানা


তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আয়কর অভিযানে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, নেপথ্যে রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। মুর্শিদাবাদ উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, 'হলফনামায় যা দিয়েছেন, আর প্রকৃত যা আছে, তার মধ্যে নিশ্চয়ই ফারাক আছে। নিশ্চয়ই সঠিক দেন না।' অন্যদিকে তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যর কথায়, 'বোঝাই যাচ্ছে ভোট আসছে, তাই দিল্লি থেকে ইডি, সিবিআই, আইটির আনাগোনা বাড়ছে।' যদিও, তল্লাশির বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।


অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের চিনিকল দুর্নীতি মামলায়, মুম্বইয়ের পাশাপাশি, কলকাতাতেও চলে ED-র তল্লাশি অভিযান। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি অফিসে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। চিনিকল দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের এক প্রাক্তন মন্ত্রী তথা NCP নেতার। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো সংস্থা খুলে হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ED সূত্রে দাবি, কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটেও ভুয়ো সংস্থার অফিস খোলা হয়। ২ বছর ধরে সেটি বন্ধ রয়েছে। এদিন ওই অফিসেই তল্লাশিতে যান দিল্লি থেকে আসা ED-র ৪ অফিসার।