কলকাতা : বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার বাংলার মৎস্যজীবীরা। অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আরও অস্থির হয়ে উঠেছে সে-দেশের পরিস্থিতি। গত মাসে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী সামুদ্রিক সীমানা অতিক্রমের অভিযোগে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। এখনও তাঁরা সেখানেই। কেমন আছেন তাঁরা। কী পরিস্থিতিতে দিন কাটছে তাঁদের, কোনও খবর নেই পরিবারের কাছে। পরিবার আতঙ্কিত, সারা বাংলাদেশজুড়ে যেভাবে হিন্দু বিদ্বেষ বাড়ছে, তাতে কীভাবে রাখা হয়েছে ওই মৎস্যজীবীদের। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি রয়েছেন তাঁরা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, শীতের আগে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশ জলসীমানায় ঢুকে পড়ে এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি ট্রলার। সেই ট্রলারগুলিতে ছিলেন কাকদ্বীপ, নামখানা এলাকার ৯৫ জন মৎস্যজীবী। বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাঁদেরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সবাইকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। বর্তমানে ওই মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের জেলেই রয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কেমন আছেন তাঁরা, এই ভেবে রাতের ঘুম উড়েছে পরিবারের।
কাকদ্বীপ ও নামখানার থেকে মাছ ধরতে যাওয়া ব্যক্তিদের আটক করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। প্রথম ১৩ অক্টোবর, ৩১ জন জেলেকে আটক করে বাংলাদেশ। দুটি জেলে-নৌকো মা বাসন্তী ও জয় জগন্নাথে থাকা মৎস্যজীবীদের আটক করা হয়। তারপর ১৪ অক্টোবর অভিজিত, অভিজিত ৩ ও নারায়ণ নামের তিনটি নৌকাসহ আরও ৪৮ জন জেলেকে গ্রেফতার করা হয়। ২৬ অক্টোবর আরও ১৬ জন জেলেকে আটক করে কোস্টগার্ড। এঁরা মূলত ইলিশ মাছ ধরার জন্যই সামুদ্রিক সীমা পার করেছিল। জেলেদের সংগঠনগুলির দাবি, তারা ইচ্ছে করে সীমা লঙ্ঘন করেনি, বরং ইলিশ মাছ ধরার মরসুমে অসাবধানতাবশতই সীমানা টপকে যায়। এমন ঘটনা আগেও একাধিকবার ঘটেছে। মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির অভিযোগ, নতুন বাংলাদেশী শাসনই এমন কঠোর অবস্থান নিয়েছে, আগের সরকার আরও মানবিক ছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন : সোমবার সীমান্তের কাছে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুভেন্দুদের