কলকাতা, রাজর্ষি দত্তগুপ্ত: প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলওয়ে প্রকল্পের সমাপ্তির জন্য স্থান পরিদর্শন করল পূর্ব রেলওয়ের কনস্ট্রাকশন বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল (Eastern Railway)। চিফ ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে এবং চিফ আডমিনিসট্রেশন অফিসার (কনস্ট্রাকশন) এবং ডেপুটি চীফ ইঞ্জিনিয়ার-সহ দলটি স্থানীয় বাসিন্দাদের এদিন কথা বলেন। সরে আসে উদ্বেগের মেঘ। সফল বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন তাঁরা।
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সম্প্রসারণে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়
পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনের সময়ে, এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান-ভাবাদিঘির স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। গ্রামবাসীদের কাছে ভাবাদিঘি পুকুর এলাকার তাৎপর্য স্বীকার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেন যে, স্থানীয় জীবিকার উপর কোনও বিরূপ প্রভাব পড়বে না। বিশেষ করে, তাঁদের মৎস চাষ ও জল সরবরাহের দিকে নজর রেখে, ভবাদিঘির প্রস্তাবিত জমির সমপরিমাণ এলাকায় দিঘি প্রসারণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
পূর্ব রেলওয়ের লক্ষ্য কী ?
গোঘাট-কামারপুকুর অংশের বাসিন্দাদের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে রেলওয়ের প্রকল্পের বিষয়ে তাঁদের আশঙ্কা এবং আকাঙ্ক্ষার মূল্যবোধের বিনিময় ঘটে। উন্মুক্ত কথোপকথন এবং স্বচ্ছ যোগাযোগের মাধ্যমে, ইস্টার্ন রেলওয়ের লক্ষ্য, সমস্ত অংশীদারের মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা গড়ে তোলা। কামারপুকুর, জয়রামবাটি, বড়গোপীনাথপুর, ময়নাপুর, গোকুলনগর, জয়পুরে প্রস্তাবিত স্টপেজগুলির সাথে হুগলি জেলার পূর্ব রেলওয়ে অংশের সঙ্গে সংযোগ করার চাবিকাঠি এই রেল প্রকল্পটি।
কত হতে পারে ভাড়া ? জানাল রেল
প্রয়াগরাজ, অযোধ্যা, কাটরা এবং খাজুরাহোর মতো দেশের অন্যান্য অংশ সাক্ষ্য বহন করে রেলের সম্প্রসারণ এলাকায় পর্যটন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনুঘটক রূপে কাজ করে এবং আনুষঙ্গিক ব্যবসাকে উৎসাহিত করে। বর্তমানে, বিষ্ণুপুর-জয়রামবাটি-কামারপুকুর-তারকেশ্বরের পর্যটন সড়ক পরিবহণের উপর নির্ভরশীল। যা কেবল ভ্রমণে সময়ই ব্যয় করে না, বিপজ্জনকও। বর্তমানে, হাওড়া-গোঘাট লোকাল ট্রেন ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় নেয় এবং যদি বিষ্ণুপুর পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করা হয় তবে আরও ৩০ মিনিট সময় নেবে। অথচ বিষ্ণুপুর পর্যন্ত একটি বাস ৫ ঘন্টার বেশি সময় লাগবে । যেখানে একটি ইএমইউ ট্রেনে ৩ ঘন্টায় যাত্রা সম্ভব। ইএমইউ ট্রেনে হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে প্রায় ৩০ টাকা। যেখানে বাসে যাত্রার ভাড়া হবে প্রায় ১৫০ টাকা।
আরও পড়ুন, নিয়োগ দুর্নীতির গোটা দায় জেলবন্দি পার্থর ঘাড়েই ঠেললেন কুণাল
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পটি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করে।মসৃণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে,রেলের এই উদ্যোগ এই অঞ্চলটিকে পর্যটন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। সকল অংশীদারির সহযোগিতায় এবং একটি প্রাণবন্ত তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল উপলব্ধ করার সময় এসেছে।ঐতিহাসিক এই পরিদর্শনের মাধ্যমে পূর্ব রেলে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের উন্নত ভবিষ্যত ও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।