কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশে, ২০১৪-এর টেট পরীক্ষার্থীদের আজ ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। ১৮৭ জনের তালিকা প্রকাশ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে ভিড় করেছেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর, ইন্টারভিউয়ে সফল হলে চাকরি মিলবে বলে আশা। 


হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১৯ সেপ্টেম্বর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ইন্টারভিউয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।


কতজনের নিয়োগ? ১৮৭ জনকে নিয়োগ করার জন্য ৩ বার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার প্রেক্ষিতে নিয়োগ করার নির্দেশ ছিল।


কোন মামলা: পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল নিয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা। প্রাথমিক ভাবে ১৮৭ জনকে টেট অনুত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হলেও, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষিত হন ১৮৭ জন। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা।


প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া পাঁচটি নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। 


সিঙ্গল বেঞ্চের পুনরাবৃত্তি ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রইল ডিভিশন বেঞ্চে।


CBI তদন্তের নির্দেশেই সিলমোহর দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
বহাল রইল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ এবং মানিক ভট্টাচার্যর ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশও।


এছাড়াও, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে ২৬৯ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাতেও সিলমোহর দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। পর্ষদের পাঠানো নথির ফরেন্সিক পরীক্ষার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশও বহাল রাখা হয়েছে।


প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের একাধিক নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মানিক ভট্টাচার্য এবং চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা। 


১৯শে জুলাই শেষ হয় মামলার শুনানি। শুক্রবার রায়দান করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, 
CBI তদন্তের নির্দেশ বহাল থাকছে। এর পাশাপাশি, ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশেও বহাল থাকবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ২৬৯ জনকে পুনর্বহাল করা যাবে না।


পর্যবেক্ষণে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, কেন ২৬৯ জনকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তা আজ পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলে, ২৬৯ জন বরখাস্ত হওয়া প্রার্থী সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন করতে পারবেন। তবে দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে পারবেন না। পর্ষদের নথি ফরেন্সিক পরীক্ষার নির্দেশ বহাল থাকবে। 


সিঙ্গল বেঞ্চ মামলা পর্যবেক্ষণ করবে। টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে আদালতের নজরদারিতে CBI তদন্ত করবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর CBI-এর কাছে রিপোর্ট চাইতে পারবে সিঙ্গল বেঞ্চ।