পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার (Jadavpur Police Station area) ছিট কালিকাপুরে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সঙ্গীকে আটক করল পুলিশ। খুন নয়, ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মঘাতী হন মহিলা, পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মহিলার সঙ্গী। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মহিলার সঙ্গী। বাড়ি ফিরে তিনি মহিলাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান, বলে দাবি সঙ্গীর। এই দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখছে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ (Jadavpur Police)। ময়নাতদন্তের (Autopsy) পরেই মহিলার মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 


আরও পড়ুন


 আজ কলকাতায় পেট্রোল-ডিজেল সস্তা হল কি ? জানুন জ্বালানির দর


বাইরে থেকে বন্ধ ছিল ঘরের দরজা, 'সকালে সঙ্গীকে দেখা গিয়েছিল'


পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার ছিট কালিকাপুরে ভাড়া বাড়িতে খুন মহিলা। উধাও পুরুষ সঙ্গী। গলায় ফাঁসের দাগ থাকায় শ্বাসরোধ করে খুন বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, 
বাইরে থেকে বন্ধ ছিল ঘরের দরজা। সকালে সঙ্গীকে দেখা গিয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে মৃত মহিলার পুরুষ সঙ্গীর খোঁজ চালাচ্ছিল পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। তবে ইতিমধ্যেই তদন্তে কিছুটা সাফল্য মিলতে পারে বলে আশ্বাস, কারণ কালিকাপুরে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সঙ্গীকে আটক করেছে পুলিশ। 


'বিয়ে করেছিলাম, খুন নয়' , বিস্ফোরক সঙ্গী


জানা গিয়েছে, গভীররাতে মৃত মহিলার ওই সঙ্গীকে আটক করে পুলিশ। এরপরেই মৃতার সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। আর সেখানেই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। সে জানিয়েছে, ওই মহিলাকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। একসঙ্গেই থাকছিলেন। যদিও তাঁদের আদৌ কোনও বিয়ে হয়েছিল কিনা, এনিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট পুলিশের হাতে না আশায়, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন  মহিলার সঙ্গী পুলিশেকে জানিয়েছেন, খুন নয়,ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর 'স্ত্রী'। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মহিলার সঙ্গী। বাড়ি ফিরে তিনি মহিলাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান, বলে দাবি সঙ্গীর। এই দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখছে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই মহিলার মৃতদেহ এনআরএস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি খুন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে গোটা ঘটনার  একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়ার অপেক্ষায় পুলিশ।