রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : করোনার তৃতীয় ঢেউ যে কোনও সময় আছড়ে পড়তে পারে। নিত্য-নতুন ভ্যারিয়েন্টের খবরে আশঙ্কা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় ভ্যাকসিন অত্যাবশ্যকীয়। কিন্তু, এখনও ভ্যাকসিন-ভোগান্তির শেষ নেই অনেক জায়গায়। এবার ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি। জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের দুরামারি বাজারে ভ্যাকসিন নিতে এসে জখম হলেন একাধিক জন। এই ঘটনা মালদা ও হাওড়া জেলার কথা মনে করিয়ে দিল।
ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ভোররাত থেকে স্কুলগেটের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ান প্রচুর সংখ্যক মানুষ। এর পর যখন স্কুলগেট খুলে দেওয়া হয়, তখন মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। একে অপরকে ঠেলাঠেলিতে পড়ে যান বেশ কয়েকজন। তাতে জখমও হন অনেকে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রথমে পাঠানো হয় দুরামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বেশ কয়েক জনকে পাঠানো হয় ধুপগুড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এছাড়া বাকিদের পাঠানো হয় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। বেশ কয়েকজন গুরুতর চোট পেয়েছেন। এই ঘটনার জেরে অনেকের কান কেটে গেছে। কারও কারও কানের দুল ছিঁড়ে ঝরঝর করে রক্ত পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ মানুষজন।
এর আগে জুন মাসে ভ্যাকসিন-হয়রানির ছবি দেখা গিয়েছিল হাওড়ায়। মধ্য হাওড়ার নরসিংহ দত্ত রোডে, পুরসভার ৪ নম্বর বরো অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। কয়েকদিন ধরেই চলছিল লম্বা লাইন। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ভোর থেকে লাইন দিয়েও অনেককেই ভ্যাকসিন ছাড়া ফিরে যেতে হচ্ছে। ভ্যাকসিন নেই জানিয়ে নোটিস টাঙানো হয়। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। শুরু হয় পথ অবরোধ। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, ভ্যাকসিনের আকাল রয়েছে। জোগান অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
দিনকয়েক আগেই ভ্যাকসিন নিতে এসে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার ছবি দেখা যায় মালদার বলরামপুরের একটি হাইস্কুলে। সকাল ১০টায় স্কুলের গেট খুলতেই মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আগে ভ্যাকসিন নিতে দৌড় শুরু করেন কয়েকশো মানুষ। চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।