রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: বিপুল টাকা তছরূপের অভিযোগ। পুর কর্তৃপক্ষের নিশানায় পুরসভারই প্রাক্তন আধিকারিক। জলপাইগুড়ি পুরসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। মোট ৮১ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রাক্তন আধিকারিকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ির চেয়ারম্যান। অভিযোগ ওঠার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। গোটা ঘটনায় নিরপেক্ষ তজন্ত চেয়েছে বিরোধীরা। 


কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ:
তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার সদ্য অবসর নেওয়া আধিকারিকের বিরুদ্ধে উঠল টাকা তছরুপের অভিযোগ। পুরসভার প্রাক্তন অফিসার-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হয়েছে এফআইআর (FIR)। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় FIR করেছেন তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান।


কী অভিযোগ?
পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দুর্নীতি হয়েছে। মাস চারেক আগে অবসর নেন ফিনান্স ও পেনশন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অরিনজিৎ ঘোষ। তারপরই তছরুপের বিষয়টি সামনে আসে বলে দাবি পুরসভার।


পুর কর্তৃপক্ষের দাবি:
তৃণমূল নেতা এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'পেনশন গ্রাহক নন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হয়েছে। তদন্তে ৮১ লক্ষ টাকা তছরুপের প্রমাণ মিলেছে। মূল অভিযুক্ত, তাঁর স্ত্রী, তাঁর ছেলে সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়। যারা জড়িত তাঁরা ধরা পড়বেন। অভিযুক্ত প্রাক্তন পুর আধিকারিকের বাড়ি জলপাইগুড়ির নতুনপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।


আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা:
তথরুপের ঘটনায় CBI তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, 'কোর্টের মাধ্যমে তদন্ত হোক বা সিবিআই তদন্ত হোক। টাকার ভাগের সঠিক তদন্ত হলে পুরসভার অনেক রাঘব বোয়াল জেলের ভাত খাবে। এটা আইওয়াশ।'


জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি বলেন, 'এখানে ৩ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আমরা চাই বিচারবিভাগীয় তদন্ত হোক। এতদিন পরে কেন সামনে এল? কেন এত সময় লাগল? তদন্ত প্রভাবিত হল কিনা দেখতে হবে।'


আরও পড়ুন: কোচবিহারে তুঙ্গে বিরোধ, পার্থপ্রতিম রায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ রবীন্দ্রনাথ ঘোষের