রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জে বিহারের নম্বর লেখা গাড়ি থেকে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকা। আর্মি স্টিকার লাগানো ২টি গাড়িই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। কোথা থেকে এল এত টাকা, তা নিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।


হাওড়ার পর জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ। ২১ দিনের ব্যবধানে ভিনরাজ্যের নম্বর লাগানো গাড়ি থেকে উদ্ধার হল বাণ্ডিল বাণ্ডিল নোট। বিহারের নম্বর প্লেট লাগানো গাড়ি থেকে উদ্ধার হল ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা।


স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালে রাজগঞ্জের কুকুরজান এলাকা দিয়ে রাজ্য সড়ক ধরে জলপাইগুড়ির দিকে বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল বিহারের নম্বর প্লেট লাগানো ২টি গাড়ি। অভিযোগ, এর মধ্যে আর্মির স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে ৭ কোটি টাকা নগদ রয়েছে বলে দ্বিতীয় গাড়ি থেকে চিত্কার করে আশেপাশের লোকজনকে সতর্ক করা হয়। এরপরই গাড়িদুটিকে ধাওয়া করেন গ্রামবাসীরা। রাজগঞ্জের চাউলহাটি গ্রামের কাছে গাড়িদুটিকে ধরে ফেলেন তাঁরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, '২টো বিহারের নম্বরের গাড়ি স্পিডে ছুটছিল। চাউলহাটিতে গাড়ি আটকাই। একটা গাড়ি আরেকটা গাড়িকে ধাওয়া করছিল। ওরাই বলছিল গাড়িতে ৭ কোটি টাকা আছে। একটা গাড়িকে আটকে পুলিশকে খবর দিই।'


রাজগঞ্জ থানার পুলিশ ২টি গাড়িকেই বাজেয়াপ্ত করে। একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গাড়ির মধ্যে একটি ব্যাগে টাকা রাখা ছিল। ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এই টাকা কোথা থেকে এল, কোথায়, কী কারণে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কেনই বা পিছনের গাড়ি থেকে টাকার কথা বলা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


গত ৩০ জুলাই, হাওড়ার পাঁচলার রানিহাটি মোড়ে ঝাড়খণ্ডের বিধায়কের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয় ৩ কংগ্রেস বিধায়ক সহ ৫ জনকে। ৪৯ লক্ষ টাকার উৎস কী ছিল? কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই টাকা? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই টাকা কি বিধায়ক-কেনাবেচার টাকা? রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। কলকাতায় বসে ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলার বিজেপির ডিলিং হচ্ছিল না তো? প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দেয় বিজেপি।


আরও পড়ুন- মারধরের পর বল্লম গেঁথে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ বাসন্তীতে, ক্ষিপ্ত স্থানীয়দের ভাঙচুর, এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য