অমিতাভ রথ,ঝাড়গ্রাম: চোলাই কারবারের (hooch racket) রমরমা রুখতে অভিনব উদ্যোগ ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের (Jhargram District Police)। 
নেশার (addiction) গ্রাসে যা হোক করে বাঁচা নয়। বরং স্বনির্ভরতার পথ দেখাতে নয়াগ্রাম এবং গোপীবল্লভপুর সীমানাবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য'মাশরুম' চাষের (mushroom cultivation) পরিকল্পনা করল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার নয়াগ্রামের পাতিনাতে 'সৃজন'নামে 'কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের' উদ্বোধন করলেন ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা। আপাতত পাইলট প্রকল্প হিসেবে 'মাশরুম' চাষ হবে সৃজন-এ। 


এমন উদ্যোগ কেন?


প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী,নয়াগ্রাম এবং গোপীবল্লভপুর সীমানা এলাকায় রমরমিয়ে চলে চোলাইয়ের কারবার। বেআইনি মদের চক্র ও ছোটখাটো অপরাধ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দূরে সরিয়ে রাখতে বিকল্প কিছুর ব্যবস্থা করা দরকার ছিল। সেই জন্যই পাইলট প্রকল্প হিসেবে 'মাশরুম'চাষের ভাবনা। এই চাষ থেকে প্রতি মাসে ভালো রোজগারের সুযোগ রয়েছে, দেখেছে প্রশাসন। কলকাতা-সহ বিভিন্ন বড় বাজারে মাশরুমের বিশাল চাহিদা। কিন্তু তুলনায় জোগান কম। সেই বাজার হিসেব করেই বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য শুক্রবার নয়াগ্রাম এবং গোপীবল্লভপুরে দুটি করে মাশরুম কেন্দ্র চালু করা হয়।


প্রকল্পের খুঁটিনাটি


দুটি কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ২৬ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী,কেন্দ্রদুটিতে মাশরুমের গড় ফলন জন প্রতি সাত-আট হাজার টাকা। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকে দুটি এবং নয়াগ্রাম ব্লকে পাতিনা ও ভেলাইঘাটি-তে দুটি এই ধরনের চাষের কেন্দ্র চালু হয়েছে। মূলত এলাকার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মোট ছাব্বিশটি পরিবার 'মাশরুম' চাষে যুক্ত হয়েছে। সার্বিক ভাবে প্রশাসনের আশা একটাই। এর ফলে চোলাই কারবারের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় পরিবারগুলি মূলস্রোতে ফিরে আসবে। কম পুঁজিতে বেশি ফলন বছরভর বিকল্প আয়ের পথ দেখালে বিপথে আর হাঁটবে না তারা। নেশার থাবা অনেকটাই এড়াতে পারবে ঝাড়গ্রাম।


আরও পড়ুন:সপ্তাহান্তে সস্তা হল কি পেট্রোল-ডিজেলের দাম কলকাতায় ?