অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: হাতির হামলায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে ফসলের। তার জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি রয়েছে। সেই দাবিতে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কিসমত রামানন্দপুর এলাকায় পথ অবরোধ করলেন কৃষকরা। রবিবার সকাল ছ'টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। ওই অবরোধের ফলে সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনী-রগড়া রাস্তায় সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।                                                        


ঘটনাটি শনিবারের। শনিবার রাত্রি ন'টা নাগাদ নয়াগ্রাম থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে প্রায় ২৫-৩০ টি দাঁতাল হাতি সাঁকরাইল ব্লকের গড়ধরা, পাথরপাড়া, দক্ষিণদাঁড়িয়া, কিসমত রামানন্দপুর সহ কয়েকটি গ্রামে চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। যার ফলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বহু ফসল। শীতকালীন সব্জি চাষ হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকায়। কপি, বেগুন-সহ নানা সব্জি নষ্ট হয়ে যায়। মাঠে ছিল পাকা ধানও। চাষিদের অভিযোগ, ধান চাষেরও প্রচুর ক্ষতি করেছে হাতির দলটি। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে শনিবার রাতে ওই গ্রামগুলির চাষের জমিতে গিয়ে তান্ডব চালায় হাতির দলটি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বন দফতরকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু, ঘটনাস্থলে কেউ আসেনি। যার ফলে বন দফতরের উপরেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই এলাকায় বাসিন্দারা। ভোর ছ'টা থেকে প্রায় ১১টা পর্যন্ত অবরোধ চলার পরে, তা উঠে যায়। 


উত্তরবঙ্গেও হাতির তাণ্ডব:
দক্ষিণবঙ্গে যখন হাতির পালের আক্রমণে ফসল নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠছে। তখনই উত্তরবঙ্গেও আতঙ্ক ছড়াল হাতির দল। জলপাইগুড়িতে বানারহাটের একটি চা বাগানে এদিন প্রায় ৩৫টি হাতির একটি দল ঢুকে পড়ে। রবিবার সকালের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বাগান শ্রমিকদের দাবি, সকালে কাজে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তাঁরা বাগানের মধ্যে হাতির দলটিকে দেখতে পান। স্থানীয়দের দাবি, শনিবার গভীর রাতে হাতির দলটি ডায়নার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে প্রথমে মোগলকাটা বস্তিতে ঢুকে পড়ে। সেখানে ধানখেতে রাতভর খাবার খেয়ে, সকালের দিকে জঙ্গলে ফেরার সময় সূর্যের আলো ফুটে ওঠায় চা বাগানের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে। হাতির দলে বেশ কয়েকটি শাবক ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দলটি এখনও চা বাগানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কখনো শ্রমিক মহল্লায়, আবার কখনো ধান খেতে ঢুকে পড়ছে। বনকর্মীরা হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।   


আরও পড়ুন: 'ডিসেম্বর মাসে একটা বড় ডাকাত ভিতরে ঢুকবে', ফের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর