অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: দলমার দামালদের মোকাবিলা করতে নতুন রন কৌশল। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে আনা হল শম্ভু ও মীনাক্ষীকে। দাঁতালদের তাণ্ডব রুখতে বিশ্বস্ত ও দক্ষ দুই কুনকি হাতি আনা হল।
নতুন রন কৌশল বন দফতরের: সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দাঁতাল হাতির পাল তাণ্ডব চালাচ্ছে। তাদের বাগে আনতে কুনকি হাতি নিয়ে এসে নতুন রন কৌশল নিচ্ছে বন দফতর। সূত্রের খবর, হাতির দল সারা বছর ঝাড়গ্রাম ,পশ্চিম মেদিনীপুর ,বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় রয়ে যাচ্ছে। বন দফতেরর পক্ষে বাগে আনা সম্ভব হয়ে উঠছিল না বলে খবর। যার ফলে প্রায় নিয়ত মানুষের প্রণন নাশের সংখ্যা বেড়ে চলেছিল। সারা বছর বন দফতরের পক্ষেও নজর দারি করতে বা ড্রাইভ করতে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো। তাই বন দফতরের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে কুনকি হাতি দিয়ে সহজেই হাতির দল গুলিকে ঝাড়খন্ডে ফেরানো যাবে। তাই এই নতুন রন কৌশল বন দফতরের। এলাকার মানুষের সমস্যার সুরাহা করতে মুশকিল আসান হিসাবে মিনাক্ষী ও শম্ভুই এখন ভরসা। দুটি লরিতে চেপে দুই মাহত ও পাতাওয়ালাদের নিয়ে ৩ দিনের সফর করে ঝাড়গ্রাম পৌঁছল শম্ভু ও মিনাক্ষী।
এদিকে পুজোর পর পর্যটকদের জন্য সুখবর। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে ছাড়া হল ফুটফুটে চার রয়্যাল বেঙ্গল শাবককে। ওদের আকর্ষণে পর্যটক বাড়বে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। খাঁচা থেকে খোলা আকাশের নিচে। বনে ফিরল চার বন্যশিশু। সোমবার বিকেলে, শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে ছাড়া হল চার ফুটফুটে রয়্যাল বেঙ্গল ছানাকে। উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল-সহ বন আধিকারিকরা। মার্চ মাসে বাঘ বিভান ও বাঘিনী শিলা এই চার শাবকের জন্ম দেয়। তারপর থেকে মায়ের সঙ্গে নাইট শেল্টারেই ছিল ওরা। সাত মাস পর্যবেক্ষণে থাকার পর এবার ওরা দর্শকের সামনে। আপাতত সপ্তাহে দুদিন করে সাফারি পার্কে ছাড়া হবে এই চার রয়্যাল বেঙ্গল শাবককে। পর্যটক টানতে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে আরও নতুন অতিথি আনার পরিকল্পনাও চলছে। বন দফতর সূত্রে খবর, বেঙ্গল সাফারি পার্কের আয়তন বাড়ানো হবে, দুটির বদলে সাত থেকে আটটি হাতি সাফারির কথাও ভাবা হচ্ছে। এই চার রয়্যাল বেঙ্গল শাবকের আকর্ষণে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।