অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অধিকাংশ ধর্ষণের ঘটনা যে সামনেই আসে না, তা বোঝা যা বিভিন্ন পরিসংখ্যানে চোখ রাখলেই। তার মধ্যেই নজির তৈরি হল এই বাংলায়। জঙ্গলমহলে দু’বছর আগের নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় ২০ বছরের সাজা ঘোষণা হল। যৌন নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষার আইনে (POCSO) দৃষ্টান্তমূলক সাজা ঘোষণা করল পকসো আদালত। একই সঙ্গে নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল আদালত।
শৌচকর্মে বাড়ির বাইরে যগিয়ে লালসার শিকার হয় কিশোরী
২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রামের (Jhargram News) বিনপুর থানার অন্তর্গত শিরশি গ্রামে ১৩ বছরের শিশুর উপর নিদারুণ অত্যাচারের কথা সামনে আসে। জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধেবেলা শৌচকর্মের জন্য বাড়ির কাছের পুকুরের পাড়ে যায় ওই কিশোরী। তার পর অনেক ক্ষণ কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। তাতেই শুরু হয় খোঁজখবর। পর দিন সকালে বিধ্বস্ত অবস্থায় মেয়েটি বাড়ি ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: Mahishadal: মহিষাদলে এক পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ উঠল গ্রাম কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। Bangla News
বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে রাতভর তার উপর চলা অত্যাচারের কথা জানায় মেয়েটি। তাতে ওই দিনই বিনপুর থানা অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। তাতে জানা যায়, মেয়েটিকে পুকুরের কাছ থেকে অপহরণ করে এক যুবক। তার পর নির্মীয়মান একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। সেখানে সারারাত তার উপর শারীরিক নির্য়াতন চালায় সে। ধর্ষণ করে। তার পর সকালে ছেড়ে দেয়।
পকসো আদালে ২০ বছরের সাজা
সেই থেকে ওই মামলা চলছিল। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় ওই যুবক। বুধবার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে তাকে ২০ বছরের কারাবাস দেন পকসো আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। জরিমানা করা হয় ৫ হাজার টাকা। অনাদায়ে কারাবাসের মেয়াদ আরও পাঁচ মাস বাড়বে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, ভিক্টিম কম্পেনসেশন ফান্ড থেকে পীড়িত মেয়েটিকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর শুভাশিস দ্বিবেদী জানিয়েছেন, সরকারের তরফে সবসময়ই প্রচেষ্টা থাকে নির্যাতিতা যাতে দ্রুত বিচার পান। এবং দ্রুত সাজা হয় অভিযুক্তের। এ ক্ষেত্রে পুলিশ চার্জশিট জমা দিতে দেরি করেনি। তাতেই কম সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণা করা সম্ভব হয়েছে।