অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: সাতসকালে হাতির হামলা ঝাড়গ্রামে (Jhargram Elephant Attack)। তাতে মৃত্যু বেঘোরে প্রাণ গেল এক মহিলার। শুঁড়ে পাকিয়ে তুলে ধরে তাঁকে হাতিটি আছাড় মারে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠছে বন দফতরের (Forest Department) ভূমিকা নিয়েও।
হাতির তাণ্ডবে প্রাণ গেল মহিলার
ঝাড়গ্রামজেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া বিটেরি অন্তর্গত সাপধরা গ্রামের ঘটনা। শনিবার সকালে সেখানে এমএসকে স্কুলের সামনে হাতির মুখে পড়ে যান মিনি খিলাড়ি নামের ওই মহিলা। তাতেই শুঁড় দিয়ে পাকিয়ে তুলে ওই মহিলাকে হাতিটি আছাড় মারে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
মাটিতে আছড়ে পড়ে গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে কোও রকমে হাতির সামনে থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
বিগত কয়েক দিন ধরেই ঝাড়গ্রামে হাতির উপদ্রব বেড়েছে বলে খবর সামনে আসছে। অতি সম্প্রতিই দলছুট হয়ে একটি হাতি ঢুকে পড়ে কাঁকসার গোপালপুর এলাকায়। সন্ধের পর সেখানের গ্রামে তাণ্ডব চালায় হাতিটি। একটি গাড়ির কাচও ভেঙে দেয়।
সেই সময়ও বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও বন দফতর জানায়, বাঁকুড়া থেকে দামোদর পেরিয়ে কাঁকসায় ঢোকে দাঁতালটি। হাতিটিকে ধরতে এলাকায় মোতায়েন ছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। পরে সেটি জঙ্গলে ফিরে যায় বলে জানা যায়।
পর পর হাতির হামলার ঘটনা উঠে আসছে
এর পর গত মঙ্গলবারই বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে তাণ্ডব চালায় একটি হাতি। হাটতলায় ঢুকে পড়ে দোকানে ভাঙচুর চালায়। নষ্ট করে সবজি। নেতাজি পল্লীতে একিট বাড়ির পাঁচিল ভেঙে দেয়। বন দফতরকে খবর দিলে বনকর্মীরা গিয়ে হাতিটিকে গঙ্গাজল ঘাটির জঙ্গলে স্থানান্তরিত করেন।