দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সামনেই মাধ্যমিক (Madhayamik Exam 2023)। এদিকে আগুন পুড়ে ছাই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বই। ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই দৃশ্য। তাণ্ডবের দুই দিন পর ঘরে তো ফিরলেন নির্যাতিতারা (Joynagar Violence)। কিন্তু একরাশ হতাশা চোখে মুখে। সামনেই মাধ্যমিকের আগে টেস্ট পরীক্ষা। কীভাবে দেবে সে পরীক্ষা ? কার্যতই একের পর এক প্রশ্ন ধেয়ে আসছে।


প্রসঙ্গত, জয়নগর হিংসাকাণ্ডে বর্ষীয়ান বামনেতা সুজন চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই 'বগটুই' প্রসঙ্গ টেনেছেন। তবে বগটুইয়ের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, সেই গ্রামের মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। তবে এক্ষেত্রে কী হবে ? তেমন কোনও পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসেনি। 


আতঙ্ককে সঙ্গী নিয়েই তাণ্ডবের ২দিন পরে গ্রামে ঢুকছেন ঘরছাড়ারা। বহিরাগতদের গ্রামে প্রবেশ নয়, জানিয়ে দিল পুলিশ। আশ্রয়হীনদের ঠিকানা এখন দক্ষিণ বারাসাতে সিপিএমের পার্টি অফিস।অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে ঘরে ফিরছেন ঘরছাড়ারা।ঘরে ফেরার পর নির্যাতিতারা সাংবাদিকদের জানালেন, কীভাবে এর মধ্যে থাকব, আলো, জল, খাবার কিছুই নেই ! 


ইতিমধ্য়েই জয়নগরকাণ্ডে ৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে।পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দলুয়াখাকি গ্রামের সিপিএম নেতা-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অন্য দিকে সিপিএম কর্মী, সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাতেও পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। 


 মৃত সইফুদ্দিন লস্কর ছিলেন তৃণমূলের বামনগাছি অঞ্চলের সভাপতি। তাঁর স্ত্রী বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান। পাল্টা এক দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে।স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। বাড়ির কাছেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষকৃতীরা। পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাজনৈতিক কারণ? নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা? কী কারণে খুন খতিয়ে দেখছে জয়নগর থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন, আগুনে পুড়ে খাক সব, আতঙ্ক নিয়েই ২ দিন পর গ্রামে ফিরল নির্যাতিতারা


 গোটা ঘটনার পর কড়া প্রতিক্রিয়া বাম-বিজেপি-তৃণমূলের।তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল বীরভূমের বগটুই গ্রাম। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছিল শিশু-মহিলা সহ ১০ জনের। ২০২২-এর ২১ মার্চ, বগটুইয়ের সেই ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে তৃণমূলকে নিশানা করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। 'যেকোনও মৃত্যু দুঃখজনক, কিন্তু অন্য কারও ঘাড়ে দোষ চাপাবার কোনও মানে হয় না', বলেছেন তিনি।   অন্তর্দ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ায় দুষ্কৃতীদের বাঁচাতে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের নিশানা করেছে শাসক দল, অভিযোগ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।