কলকাতা : পরিবেশ-সচেতনতায় দুর্গাপুজোর যে রূপান্তরমুখী সম্ভাবনা রয়েছে, তা উদ্ভাসিত করে চলেছে JSW বিশ্বধারিণী পুরস্কার, পাওয়ার্ড বাই JSW পেন্টস এবং সহযোগিতায় এবিপি আনন্দ । এবার এই পুরস্কারের দ্বিতীয় সংস্করণেও সমভাবে জারি ছিল এই অনন্য উদ্যোগ। এবার পুজোয় কলকাতার সবথেকে সেরা ২০ স্থায়ী ও উদ্ভাবনী মণ্ডপকে স্বীকৃতি দিয়েছে JSW বিশ্বধারিণী পুরস্কার ২০২৪। একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক উদযাপন ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতাকে সমর্থন জানিয়ে এই পুরস্কার নতুন এক বেঞ্চমার্ক স্থাপন করেছে।

  


এবার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ১৫০-এরও বেশি পুজো মণ্ডপ, প্রত্যেকেই সুস্থ-সবল পরিবেশের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতিকে প্রদর্শিত করেছে তাদের প্রকাশের মাধ্যমে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী থেকে বিদ্যুৎ-সাশ্রয়কারী আলোর ব্যবহার, এই পুজো মণ্ডপগুলি সেজে উঠেছিল নানাবিধ পরিবেশ-বান্ধব সজ্জায়। এদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছে সেই পুজোমণ্ডপগুলি, যারা বাকিদের থেকে নিজেদের অনেকটা এগিয়ে রেখে স্ব-উদ্ভাবনী শক্তি ও ব্যতিক্রমী সৃজনশীলতার বলে নকশা ও উদ্যোগে অনবদ্য স্বাক্ষর রেখেছে এবার।


পুরস্কার-বিজয়ী প্যান্ডালগুলি শৈল্পিক ঔৎকর্ষের মাধ্যমে শুধুমাত্র যে দর্শকদের আকর্ষিত করতে পেরেছে তাই নয়, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করতেও সক্ষম হয়েছে। তাদের এই অনন্য প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে সম্প্রদায়-পরিচালিত উদ্যোগ, শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, এবং পরিবেশের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রোধে উদ্ভাবনী সমাধান সমূহ। দুর্গাপূজার আতিশয্যের সঙ্গে পরিবেশের স্থায়িত্বকে একাত্ম করে যে প্রদর্শন করে দেখিয়েছে এই পূজামণ্ডপগুলি, অন্য আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে, তা অনুসরণ করতে। 


২০২৪ সালের দুর্গাপুজোকে সাংস্কৃতিক, স্থায়িত্ব এবং গোষ্ঠীগত উদযাপনের অবিস্মরণীয় অংশ করে তুলতে তাদের অবদানের জন্য, সমস্ত বিজয়ী এবং অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন জানায় JSW। পুজো উদযাপনের ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। যাতে আরও টেকসই আরও স্থায়ী, সবুজ এক বিশ্ব গড়তে, পরিবেশ-বান্ধব হয়ে উঠতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এই উদ্যোগ।