কলকাতা: কলকাতা পুরসভার ভোটের পর ফলও প্রকাশিত হয়েছে। এরপর শপথও গ্রহণ করেছেন নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা। পরবর্তী মেয়র হিসেবে ফিরহাদ হাকিমের নামই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়।


নতুন পুরবোর্ডের কাছে কী প্রত্যাশা শহরবাসীর? এবিপি আনন্দের যুক্তি-তক্কো অনুষ্ঠানে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘ড. কুণাল সরকার যে অ্যাপ্রোচ, স্পিরিটের কথা বলেছেন, আমি তার সঙ্গে একমত। কিন্তু এখন ফোকাসটা সেটা নয়। নতুন বোর্ডের কাছ থেকে তিলোত্তমা কী চায়, প্রশ্ন এটাই। আমি বলছি, সে তো পরের কথা। তিলোত্তমা কি এই পুরবোর্ড চেয়েছিল? সেটাই তো প্রশ্ন। যেভাবে ভোট হয়েছে বা ভোটের নামে লুঠ হয়েছে, আমায় যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন, আমি বলব, তিলোত্তমা চায় এই নতুন পুরবোর্ডের কাছ থেকে পদত্যাগ। চায় স্বচ্ছ পুরভোটের মাধ্যমে জিতে আসা বোর্ড। পাঁচ কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়ে যারা বলেছিল সমাজসেবার উপার্জন, ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তারাই বলছে জনরায়ের নির্বাচন। কিন্তু চোরা ধর্মের বাণী শুনবে কেন! সেটা ধরে নিয়েই আমাদের আলোচনা।’


সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘২০১১ সালে প্রতিশ্রুতি ছিল, কলকাতা হবে লন্ডন। লন্ডন হয়েছে কি না আপনারা বলতে পারবেন। কিন্তু ভেনিস তো হয়েছে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। অথবা লন্ডনের নামে লন্ডভন্ড হয়েছে দেখা যাচ্ছে। প্রত্যাশা, আমরা যেন কলকাতার মর্যাদা ফিরে পাই। অত লন্ডন, ভেনিসের দিকে না গেলেও হয়তো চলবে। কলকাতায় একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। কলকাতার পুরনো জলাশয়গুলি কোথায় উবে যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেসের শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন প্রথমবার মেয়র হন, তখন কলকাতায় ৭,২০০ পুকুর ছিল। সেটা এখন কমতে কমতে সাড়ে তিন হাজারে ঠেকেছে। তাহলে কি রোজ একটা করে পুকুর উবে যাচ্ছে? পুকুর ভরাট আর পকেট ভরাট সমার্থক, এই কথাটাই বাস্তবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হোক বেআইনি পুকুর ভরাট। তৃণমূলের তিনজন মেয়র, তিনজনকেই নারদে ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে এবং জেল হয়েছে। আমাদের রাজ্যের যে যুবকরা ভিনরাজ্যে বা বিদেশে কর্মসূত্রে আছেন, তাঁদের যেন আর এটা শুনতে না হয়, তিলোত্তমার মেয়র কি জেলফেরতই হতে হবে! কলকাতা পুরসভায় ২৮ হাজার শূন্যপদ। এই শহরের যৌবন এই শহরেই কাজ খুঁজে পাক, এটাই হবে আমাদের প্রত্যাশা। তিলোত্তমা নিজের সন্তানদের নিজের ঘরে চায়।’