কলকাতা: স্কুলে কর্মশিক্ষার অতিরিক্ত ৭৫০টি পদ নিয়ে সন্দেহ আদালতের (Court)। কর্মশিক্ষার অতিরিক্ত ৭৫০টি পদ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, ''খুব সন্দেহজনক তালিকা, প্রয়োজনে নিয়োগে স্থগিতাদেশ। কম নম্বর পেয়েও ডাক, অথচ বেশি নম্বর পেয়েও আসেনি ডাক। এমন হলে বড় গাফিলতি, উড়িয়ে দেব তালিকা।'' এই ভুল কি ইচ্ছাকৃত না গাফিলতি? এসএসসিকে প্রশ্ন বিচারপতির।
কাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে এসএসসির জবাব তলব বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। এসএসসির জবাবে সন্তুষ্ট না হলে নিয়োগ বন্ধের হুঁশিয়ারি বিচারপতির। ৭২ পেয়েও মেলেনি ডাক, অথচ ৫৬ পেয়েও ডাক পাওয়ার অভিযোগে মামলা।
এর আগে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কার্যত সময় বেঁধে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি বলেছিলেন, 'সোমবার পর্যন্ত দেখব, নির্দেশের পরও কাজ না হলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব।'
সময় বেঁধে দিয়ে হুঁশিয়ারি
ফের স্কুলে নিয়োগ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার একেবারে সময় বেঁধে দিলেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ
৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, ২০১৭’র টেটে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। এরপরই ২০১৪’র টেট প্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ২০১৭’র টেটে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলেও, ২০১৪’র টেটে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, মামলাকারীদের দাবি, ছিল এই চাকরিপ্রার্থীরা দেড়শোর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। ফলে এঁদের গড় নম্বর ৫৪.৬৭ শতাংশ। নিয়ম অনুসারে ৫৪.৬৭-কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। ৫৫ নম্বর পেলেই এঁরা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মান্যতা পাবেন। মামলাকারীদের আরও দাবি, ২০১৪-র টেটে ৬টি ও ২০১৭-য় ৮টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে না। আমি বলেছিলাম, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করব না। সেই মন্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি। এরকম চলতে থাকলে নিয়োগ বন্ধ করে দেব।
আরও পড়ুন: সদ্য প্রকাশিত ২০১৪-র তালিকায় দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীর নাম