সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali ED Raid) ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়, ইডির বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআর নিয়ে মামলায় নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর (Justice Jay Sengupta On FIR By Police On Sandeshkhali ED Raid)। আরও জানালেন, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।


প্রেক্ষাপট...
ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। ইডির বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে লক্ষাধিক টাকা নেওয়া, মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে এফআইআরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে রাজ্যের হলফনামা ও কেস ডায়েরি তলব  করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশের কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, রাজ্যকে জানাতে হবে হলফনামায়। আগামী ২২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। ইডির অভিযোগ, 'আমাদের আধিকারিকদের ব্যাপক মারধর করা হয়, এরপর আমাদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই এফআইআর করা হয়। আমরা বাড়িতে ঢুকতেই পারিনি, হেনস্থা করতে এফআইআর।' কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, সিআরপিএফ-ইডিকে নোটিস পাঠিয়ে হেনস্থা করতে চাইছে পুলিশ। রাজ্যের আইনজীবীর অবশ্য সওয়াল, স্থানীয়রা পুলিশের কাছে ইডির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ করেছিল। ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিজার লিস্ট না দেওয়ার অভিযোগ ছিল। আইন অনুযায়ী অভিযোগ এলে এফআইআর করতে বাধ্য পুলিশ, সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবী।  
  'যদি কেউ বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মারধর করা হয়েছে, তাহলেও কি আপনারা এফআইআর করবেন? যদি কেউ খুনের অভিযোগ করলে, ঘটনাস্থলে না গিয়ে আপনারা এফআইআর করে দেবেন?', রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। 'ইডি আমাদের আগে থেকে কিছু জানায়নি', পাল্টা সওয়াল রাজ্যের। বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, 'তারা কি জানাতে বাধ্য? তল্লাশি চালাতে তো তাদের আইনত কোনও বাধা নেই।' 'সকাল সাড়ে ১০টা ও দুপুর দেড়টায় দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। দুটিতেই ওসি-র সই রয়েছে। প্রথম এফআইআরে, ইডি আধিকারিকরা টাকা ও নথি নিয়েছেন, মহিলাদের সম্মানহানি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দ্বিতীয় এফআইআরে পুলিশ অফিসার পিনাকী সরকার ঘটনাস্থল ঘুরে এসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে লেখা রয়েছে, প্রায় ৩ হাজার মানুষ ছিল, ইডি আধিকারিকরা মার খেয়েছেন আর কিছু নেই। ওসি কেন পুলিশ অফিসারকে বললেন না, আপনার কথার সঙ্গে সকালের অভিযোগের মিল নেই? ওসি কেন বললেন না, সকালে যে এফআইআরে সই করেছি, তার সঙ্গে আপনার কথার কোনও মিল নেই? ওসি কেন নিজে অনুসন্ধান করলেন না? কেন ওই অধস্তনের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে না?' রাজ্যকে আরও প্রশ্ন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।' আমাদের এফআইআরের ভিত্তিতে লঘু এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ', অভিযোগ ইডির। 'ঘটনার সময় ২-৩ মিনিটের মধ্যে শেখ শাহজাহান ২৮টি ফোন করেছেন, কল রেকর্ড আছে। শেখ শাহজাহানকে আগেই ফোন করি। পরিচয় জানার পর আর ফোন ধরেননি', আদালতে আরও জানায় ইডি।


আরও পড়ুন:ইংরেজিতে ২১ পেয়ে আটা কলে কাজ ! আরেক'12th Fail' আজ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার