প্রকাশ সিনহা , কলকাতা : ফেব্রুয়ারি মাসে গোপাল দলপতির মুখে প্রথমবার শোনা গেছিল কালীঘাটের কাকুর কথা। কিছুদিনের মধ্য়ে কালীঘাটের কাকুর নাম বলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। এবার তাঁর বর্ণিত সেই কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করল ইডি। গ্রেফতারির পিছনে তাঁর নিজের মোবাইলের তথ্য নয়,  সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর গ্রেফতারির পিছনে রয়েছে এক তৃণমূল নেতার মোবাইলে পাওয়া তথ্য! 


ইডি সূত্রে খবর, কালীঘাটের কাকুর নিজের মোবাইলের তথ্য গ্রেফতারির জন্য যথেষ্ট ছিল না। অন্য এক তৃণমূল নেতার মোবাইলে পাওয়া তথ্য দেখিয়ে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কালীঘাটের কাকুকে। মোবাইলের তথ্য সামনে তুলে ধরার পরেও, তথ্য গোপন করছিলেন 'কালীঘাটের কাকু', অভিযোগ ইডি-র। 


মোবাইলে কী তথ্য


ইডির আরও দাবি, যার মোবাইলে মিলেছে তথ্য, তিনিও স্বীকার করেছেন কথা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণর সঙ্গে। দরকারে কেস ডায়েরিতে উল্লেখ করা হবে সেই তথ্য, দাবি ইডি-র। এছাড়াও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বেনামি সম্পত্তিতে নজর রেখেছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা লেনদেনে জড়িত সুজয়কৃষ্ণ, সন্দেহ ইডির  । ইডির সন্দেহ, ৩টি সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। 

গত ২০ মে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের দিনই 'কাকু'র বাড়িতে ইডি হানা দেয়। ওইদিনই কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে অভিষেককে ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেদিন 'কালীঘাটের কাকু'র বেহালার বাড়ি-অফিসে ১৫ ঘণ্টা ইডি তল্লাশি চালায়। তার আগে গত ৪ মে, 'কালীঘাটের কাকু'র বাড়ি-ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি চালায় , ২টি ফোন, টাকা বাজেয়াপ্ত করে। 


প্রথম কীভাবে নাম উঠে আসে কালীঘাটের কাকুর 


এবিপি আনন্দে প্রথমবার গোপাল দলপতির মুখে শোনা গেছিল কালীঘাটের কাকুর কথা। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার কালীঘাটের কাকুর নাম শোনা যায়, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে। পরদিনই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে তাপস মণ্ডল বর্ণিত কালীঘাটের কাকুকে খুঁজে বার করে এবিপি আনন্দ। আর সেদিনই তাঁর মুখে শোনা যায় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নাম। তিনি বলেন, 'আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই তো তাঁকে ছোঁবে। কারণ, তাঁর নাম কেউ করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না। তার সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবে না। তাই সেই অবধি কোনও পৌঁছবে না। কিন্তু, যা চেষ্টা করা হচ্ছে, আপনারা ভাল বুঝবেন, সেই করতে গিয়ে, আমি অবধি এসে থেমে যেতে হচ্ছে। '