প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছেন তিনি! যা-ই জানতে চাওয়া হচ্ছে, বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর, জানি না। বলতে পারব না। ED সূত্রে খবর, তদন্তে একেবারেই সাহায্য় করছেন না নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কালীঘাটের কাকু ( Kalighater Kaku ) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সূত্রের খবর, এদিন, কাকুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ২ আধিকারিক।
মানিক ভট্টাচার্যকে চেনেন?
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মানিক ভট্টাচার্যকে ( Manik Bhattacharya ) চেনেন কিনা। উত্তরে কাকু বলেন, ২০২১-এর আগে চিনতাম না। এরপরের থেকে চিনি। তখন, মোবাইলের একটি চ্য়াট হিস্ট্রি দেখানো হয় কাকুকে। ED সূত্রে খবর, যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮য় ২ জনের কথা হয়েছে। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তরেও কাকু বলেন, কিছু বলব না।
ED সূত্রে খবর, কাকুর পেট থেকে কথা বের করতে, তাঁর নামে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির ডিরেক্টরদের মুখোমুখি বসিয়ে, কাকুকে জেরা করার পন্থা নিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার, ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর, সমরভূষণ সরকারের সামনে বসিয়ে জেরা করা হয় কাকুকে।
দেড় ঘণ্টা ধরে টানা কান্না
কোম্পানি কীভাবে কন্ট্রোল হত? কে সামলাত, সূত্রের খবর, সমরভূষণ ও কাকু, দুজনের কাছেই বিশদে জানতে চাওয়া হয়। ইডি সূত্রে খবর, বাকি কোম্পানির ডিরেক্টরদের ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সূত্রের খবর, বুধবার ইডি দফতরে দেড় ঘণ্টা ধরে টানা কাঁদেন কাকু।
বারবার কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার সামাজিক সম্মানহানি হল। হাজার হাজার লোক আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত। আর কেউ আসবে না। এরপর আধিকারিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আর ১টা দিন কেন সময় দিলেন না? তখন ই়ডি আধিকারিকরা বলেন, আপনাকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। তথ্য় চাওয়া হয়েছে। নথি পেশ করতে বলা হয়েছে। আপনি করেননি। বুধবারই ED-র তরফে দাবি করা হয়, অনশন শুরু করেছেন কালীঘাটের কাকু। কোনও খাবারই মুখে তুলছেন না। ED-র তরফে বলা হয়, সম্ভতব, জেরা এড়াতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ছক কষছেন কাকু! ED সূত্রে খবর, রাতে, সুজয়কৃষ্ণর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর মেয়ে।
বাবাকে তিনি বলেন, টিভিতে কীসব দেখছি? খাওয়া-দাওয়া করছ না কেন? সূত্রের খবর, এরপর রাতে রুটি, তরকারি ও দই খান কাকু। সকালে খান চা ও পাউরুটি। দুপুরেও খাবার খেয়েছেন তিনি। ED- সূত্রে খবর, প্রথমদিন জেরায় সেভাবে সহযোগিতা করেননি কাকু। বিষয়টি আাদালতে জানানো হবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। যাতে পরবর্তীকালে মানসিক বা শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ তুলতে না পারেন কাকু।