কল্যাণী: নদিয়ার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীর সঙ্গে তালিবান জঙ্গিদের ছবিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।  কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তনী সফিউল্লা মালিকজাদ আফগানিস্তানের বাসিন্দা।  তিনি গতবছর আফগানিস্তানে ফিরে গিয়েছেন। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় তিনি ২ তালিবান জঙ্গির সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবি ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। এর জবাবে সফিউল্লার দাবি, তিনি আফগানিস্তানে তালিবানের হাতে থাকা সরকারি কৃষি বিভাগে চাকরি করেন। সেই সূত্রেই ওই ছবি তিনি পোস্ট করেছেন।


আফগানিস্থান এখন তালিবানের কব্জায়। রোজই খারাপ হচ্ছে অবস্থা। কখনও প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে ঢুকে তছনছ করেছে। বিভিন্ন সময়ে ভাইরাল হয়েছে তছরুপে ভিডিও। কাবুলের দখল নেওয়ার পর আফগানিস্তানে ভারতের একাধিক দূতাবাসে হানা দিল তালিবান। কাবুল ছাড়াও কন্দহর, মাজার এ শরিফে ভারতীয় দূতাবাসে হানা দেয় তারা। ভিতরে ঢুকে সবকিছু তছনছ করে দেয়। যদিও সূত্রের খবর, এরকমটা ঘটতে পারে তা আঁচ করেই দূতাবাস খালি করার আগে নথিপত্র কর্মীরা ভারতে ফিরিয়ে আনেন। বাকি কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়ে আসা হয়। 


এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সম্পদ রক্ষার আবেদন জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাংস্কৃতিক বিভাগ ইউনেস্কো। তালিবানের কাছে এক আবেদনে ইউনেস্কো বলেছে, হেরাট প্রদেশ বা বামিয়ানে যে সব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, তা যেন ধ্বংস করা না হয়।  পাশাপাশি, কাবুল মিউজিয়ামও রক্ষার কথা বলেছে ইউনেস্কো।  আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরই বামিয়ানে হাজরা গোষ্ঠীর নেতা আবদুল আলি মাজারির মূর্তি ধ্বংস করেছে তালিবান। সেই প্রেক্ষিতেই ইউনেস্কোর এই আবেদন। 


পাশাপাশি দেশ থেকে যে কোনও উপায়ে সন্তানদের বাইরে পাঠাতে চান মরিয়া বাবা-মায়েরা। কাবুল বিমানবন্দরে মোতায়েন সেনার হাতে তাঁরা তুলে দিয়েছেন সন্তানদের। অসহায় বাবা-মায়ের এই ছবিও দেখা গিয়েছে কাবুল বিমানবন্দরে। হিংসা বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে গত ৫ বছরে দেড় হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাই সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখতে তাদের বাইরে পাঠাতে চান অভিভাবকরা।