কলকাতা: বালেশ্বরের স্মৃতি ফিরল শিলিগুড়ির (Kanchanjunga Express Train Accident) ফাঁসিদেওয়ায়। মালগাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে পাল্টি খেল শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের তিনটি কামরা। ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
প্রশ্নে যাত্রী সুরক্ষা: ফাঁসিদেওয়ার দুর্ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে মালগাড়ির চালক অর্থাৎ লোকো পাইলটকে দায়ী করছে রেল। কিন্তু তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে একটি RTI-এর জবাবে রেলের তরফে বলা হয়েছিল, গোটা দেশে তাদের প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার পদ খালি রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৭৮ হাজার শূন্যপদ রয়েছে 'সেফটি' ক্যাটিগরিতে। অর্থাৎ যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্বেই লোকের অভাব! গত এক বছরে রেলে তেমন বড় কোনও নিয়োগ হয়নি। তবে, এই এক বছরে অনেকেই অবসর নিয়েছেন। এই অবস্থায় অভিযোগ যে, বহুক্ষেত্রেই চালকদের নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি ডিউটি করতে হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "কেন এটা হচ্ছে তার পরিসংখ্যান খুব সহজেই বলা যায়। ২০২৩ সালে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশ হয় ৩ লক্ষ ১০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। তার মধ্যে গ্যাংম্যান ১ লক্ষ ৩০ হাজারের কাছাকাছি। সিগন্যাল ম্যান লোকো পাইলট মিলিয়ে ৩ লক্ষের বেশি। ২০১৯ সাল থেকে রেলে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ পর্যন্ত হয়নি।''
বালেশ্বরের স্মৃতি ফিরল শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায়। ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। রবিবার সকাল ৮.১০-এ আগরতলা থেকে শিয়ালদার উদ্দেশে রওনা দেয় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সোমবার সকাল ৮টা ৪৫ নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে, আচমকা পিছন থেকে একটি মালগাড়ি ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। ধাক্কার অভিঘাতে একেবারে পিছনে থাকা গার্ডের কামরা দুমড়ে মুচড়ে লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ওপরে উঠে যায় পার্সেল ভ্যানের কামরা। দুমড়ে মুচড়ে লাইন ছেড়ে বেরিয়ে পাল্টি খেয়ে যায় একটি জেনারেল বগি। বাকি কামরাগুলিও প্রচন্ড ঝাঁকুনি দিয়ে কেঁপে ওঠে। সিট থেকে পড়ে যান যাত্রীরা। আতঙ্কে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন অনেকেই। উদ্ধার করতে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। মালগাড়িরও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। লাইনের পাশে উল্টে যায় একাধিক কন্টেনার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।