মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, দুর্গাপুর: জঙ্গি সন্দেহে ধৃত মহম্মদ হাবিবুল্লাকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে পেল এসটিএফ (STF Custody Of Arrested Terrorist)। রবিবার তাকে দুর্গাপুর কোর্টে পেশ করে কাঁকসা থানার পুলিশ ও এসটিএফ। গত কাল বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত, আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের আধিকারিক এবং এসটিএফের আধিকারিকরা তাকে জেরা করেন। সূত্রের খবর, ধৃতের থেকে মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের বিশ্বাস, সমাজমাধ্যমে নিজেদের ভাবনাচিন্তা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করত মহম্মদ হাবিবুল্লা। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের হয়ে 'মেসেজ' ছড়িয়ে দেওয়া ছাড়া আর তার কোনও কাজ ছিল কিনা, ভবিষ্যতে কোনও লক্ষ্য ছিল কিনা, কোনও নাশকতার ভাবনা ছিল না, সবটাই তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জানতে চায় এসটিএফ। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দেওয়া হয়েছে। ইউএপিএ ছাড়াও একাধিক ধারায় একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে তার নামে। ১৪ দিনের রিমান্ডের আর্জি জানানো হয় আদালতে।
চাঞ্চল্যকর দাবি...
এসটিএফের দাবি, 'আনসার-অল-ইসলাম' মউিডলের এই রাজ্যে প্রধান ছিল হাবিবুল্লা। এই মডিউলের মূল চক্রী বা আমির হিসেবে সে কাজ করত, জেনেছে এসটিএফ। কিন্তু এই হাবিবুল্লার হদিস পাওয়া গেল কখন? সূত্রের খবর, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের গত মে মাসে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাংলাদেশে। ধৃতদের মধ্যে এক জন ছিল 'আনসার-অল-ইসলাম' -র যে শাখা নিয়োগের কাজ করত, তার সদস্য। বাকি দুজন ছিল আঞ্চলিক প্রশিক্ষক। তাদের জেরায় এক বিশেষ অ্যাপের কথা উঠে আসে। এই অ্যাপের মাধ্যমেই কথোপকথন হত। সেখান থেকে আরও দুজনের নাম জানা যায়। আসাদুল্লা আসিব এবং মহম্মদ আহাব-এই দুজন বাংলাদেশে 'আনসার-অল-ইসলাম'-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করত বলে তদন্তকারীদের দাবি। বাংলাদেশের RAF এদের গ্রেফতার করার পর থেকেই এদের ছড়িয়ে থাকা জাল সম্পর্কে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট এসে পৌঁছয়। সেই সূত্রে খবর পৌঁছয় পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফের কাছেও। তার পরেই নজরে আসে এই জঙ্গি সংগঠন। উল্লেখ্য, এর আগে পশ্চিমবঙ্গে এই জঙ্গি সংগঠনের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। গোয়েন্দাদের ধারণা, এখানে একটি মডিউল বিস্তারের চেষ্টা করছিল সংগঠনটি। এবার সম্ভবত, তাকে জেরা করে জানার চেষ্টা হবে যে এই রাজ্যে ঠিক কতটা সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই জঙ্গি সংগঠন?
আরও পড়ুন:অস্বাভাবিক মৃত্য়ু বিজেপি কর্মীর, দেহ উদ্ধার নলহাটি স্টেশনের অদূরে