সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : নিজের রেকর্ড নিজেই উন্নত করলেন তিনি। অপারজেয় তকমা বজায় রেখে কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipal Election 2021) ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফের একবার জিতলেন মালা রায় (Mala Roy)। ৭৩৫৭ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি টানা কাউন্সিলর যে ওয়ার্ডের। এই নিয়ে টানা ষষ্ঠবার পুরভোটে জিতে উঠে হাসিমুখে মালা রায় জানালেন, '৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকি, সেই জন্যই মানুষ দু'হাত তুলে আর্শীবাদ করেছেন।' কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'এই জয় সারা কলকাতার জয়। সাধারণ মানুষের জয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার জন্য যেরকম একাধিক কাজ করেছেন, আরও উন্নত করার স্বপ্ন দেখেছেন, তা এখানকার মানুষ সাদরে স্বাগত জানিয়েছেন।'


দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি ফের কাউন্সিলর হিসেবে মালা রায়কে দাঁড় করানোর পর থেকেই জল্পনা হয়তো পুরসভায় বড় কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে মালা রায়কে। সেই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মালা রায় বলেছেন, 'এখনও দলের তরফে এমন কোনও ইঙ্গিত পাইনি। দল যে দায়িত্বই দেবে তা পালন করব। সাধারণ পুরপ্রতিনিধি হিসেবেই আগের মতো মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যেতে চাই।'


৮৮ নম্বর ওয়ার্ড কখনও ফিরিয়ে দেয়নি মালা রায়কে। গত ২০২১ বিধানসভা ভোটের নিরিখে তাঁর ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ৩ হাজার ৮০০ ভোটে। পুরভোটের লড়াইয়ের মঞ্চে নেমে যে ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করে নিয়ে জিতলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে প্রথমবার কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হন মালা রায়। তারপর দক্ষিণ কলকাতার এই ওয়ার্ড তাঁর গড়ে পরিণত। ১৯৯৮ সালে তৃণমূলে যোগ দেন মালা রায়। ২০০০ সালে জোড়া ফুলের প্রতীকে জিতে মেয়র পারিষদ হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে ২০০৫ সালে পুরভোটের ঠিক আগেই তৃণমূল ছাড়েন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গুরুর পথেই হাঁটেন মালা রায়। ২০০৫-এর পুরভোটে NCP’র হয়ে দাঁড়িয়েও তাঁর জয় আটকায়নি। এরপর ২০১০-এ হাত চিহ্নেও জিতে যান। ২০১৫-র পুরভোটের মুখে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হয় মালা রায়ের। 


আরও পড়ুন- কোন ওয়ার্ডে কে জিতলেন? দেখে নিন এক নজরে